কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাহুলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, এ রাজ্যের কৃষকদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে উনি কোনও খোঁজখবর রাখেন না। বাংলায় কৃষকের আয় এখন তিনগুণ বেড়েছে। উনি জানেন না, কৃষকদের নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাগুলি কী কী। এখানকার কংগ্রেস নেতাদেরও সেই গভীরতা বা পরিশ্রম নেই যে, তথ্য সংগ্রহ করে তাঁদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে তুলে দেবেন। নাম না করে রাহুলের প্রতি তাঁর তির্যক পরামর্শ, যেখানে বিজেপির সঙ্গে লড়াই কংগ্রেসের, সেখানে লড়াই করুন। এখানে বিজেপিকে আটকাতে পারে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে সব মানুষ তাই মমতার সঙ্গে রয়েছেন। কোনও নির্দিষ্ট এলাকা কংগ্রেসের গড় ইত্যাদি বলে ভাবাবেগ তৈরি করার চেষ্টা হলেও তা কোনও কাজে দেবে না। মমতার মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও প্রায় একই ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুলকে। তিনি বলেন, রাজ্যের কৃষকদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই রাহুল গান্ধীর। তাই এখানে এসে উল্টোপাল্টা বলছেন।
জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী মহাজোটের চেহারা কী হতে পারে, তাতে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সহাবস্থান হবে কি না, এসব এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এসব প্রশ্নে জল্পনা চলছেই। এর মধ্যে রাজ্যে এসে যেভাবে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলকেও আক্রমণে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি, তাতে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়েছে। রাজ্যে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার পরও তৃণমূল সম্পর্কে কংগ্রেসের এমন মনোভাব আসলে মালদহ সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করার কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।