কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহের কলমবাগানের কংগ্রেসের নির্বাচনী জনসভাতে এদিন শুরুতে একের পর প্রদেশ নেতা, এমনকী স্বয়ং প্রদেশ সভাপতি প্রত্যাশিতভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। তখনও বোঝা যায়নি, সর্বভারতীয় পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েও সভার মূল বক্তা রাহুল গান্ধীও সেই সুরেই বক্তব্য রাখবেন। বস্তুত তিনি প্রথমেই আরএসএস ও বিজেপিকে দিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ওরা বিভাজনের রাজনীতি করে, মানুষকে ধর্মের নামে খুন করে। আমরা মানুষকে জুড়ে রাখি। চুরি ধরা পড়ার পরে এখন সবাই চৌকিদার হয়ে গেলেন। মনে রাখবেন চৌকিদার গরিবের বাড়িতে থাকে না। নরেন্দ্র মোদি অবশ্যই চৌকিদার, কিন্তু অনিল আম্বানির, মেহুল চোকসি, নীরব মোদির চৌকিদার। এরপরেই একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, একজনের কথাতেই সব চলছে এ রাজ্যে। কারও কথা উনি শোনেন না। মনে যা আসে তাই করেন। জনতার কথা পর্যন্ত শোনেন না। প্রতিদিন এখানে কংগ্রেস কর্মীদের হত্যা করা হয়। কিন্তু তাও আমরা বেঁচে আছি। বাংলার জনতাকে বলছি, ভেবে দেখুন বাম আমলে কিছু পাননি। এরপরে মমতাজি এলেন। কিন্তু কী পেলেন? এরাজ্যে শিক্ষায় পিছিয়ে, স্বাস্থ্যে পিছিয়ে, শিল্পে পিছিয়ে। কেবল মমতাজির ভাষণ চলে এখানে। সিপিএম আমলেও উন্নয়ন হয়নি, মমতাজির আমলেও নয়। অন্যদিকে দেখুন নরেন্দ্র মোদিকে, সেখানেও একই অবস্থা। একজনই সব বলবেন। কিন্তু লাভ কী হয়েছে? গত ৩ বছরে ১৫ লক্ষ টাকা আপনাদের ব্যাঙ্কে আসেনি। গব্বর সিং ট্যাক্স বসানো হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ীরা মরে গিয়েছেন। শুধু মিথ্যে প্রচার চলছে। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, কৃষকদের জন্য কিছুই করেনি দিল্লি ও রাজ্যের সরকার। বাংলা ও দিল্লিতে একনায়কতন্ত্র চলছে।
এরপরেই রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা দেশে উন্নয়ন আনব। বাংলাতেও কংগ্রেসকে আনতে হবে। দেশে আরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখরচায় উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রাহুল গান্ধী দেন। মালদহের জন্য ফুড প্রসেসিং ও রেশম শিল্প গড়ার কথা তিনি ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি মালদহকে নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি নাম না করে মৌসম নুরকে আক্রমণ করেন। বলেন, আপনাদের সঙ্গে একজন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা ভুলবেন না। আর কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা করে না। মালদহ কংগ্রেসের গড় ছিল, গড় থাকবে। যদিও পরেই তিনি বলেন, জোর করে ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধোঁকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের প্রার্থী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যনেত্রী মৌসম নুর বলেন, আমি বিশ্বাসঘাতকতা করেছি কি না, তা মানুষ জবাব দেবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মালদহের মানুষের জন্য ঝাঁপিয়েছেন। বিজেপিকে প্রতিহত করতে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রস্তাব ওঁরা মানেননি। আমার জেলার মানুষকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে এবং উন্নয়নের জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছি।