নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ রাজনৈতিক দল। লোকসভা ভোটের প্রার্থী নির্বাচন ঘিরে দলের কোনও কর্মী বিশৃঙ্খল আচরণ করলে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলবিরোধী কোনও ক্রিয়াকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাঁদের যোগ্য মনে করেছে, তাঁদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। যাঁদের পছন্দ হবে না, তাঁরা বিজেপি ছেড়ে দিতে পারেন। শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত দলীয় বৈঠকে বিজেপির জেলা সভাপতিদের এমনই বার্তা দিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, দলে কোনও রকম বেয়াদপি মেনে নেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় ২৮টি আসনে বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে একাধিক জেলায় ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কোচবিহারে পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়, আবার কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়ে। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর নির্দেশে শুক্রবার দিল্লি থেকে কোচবিহারে ড্যামেজ কন্ট্রোলে ছুটে যান কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন। ওই দিন বিকেল থেকেই পার্টির অন্তর্কলহ মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কোচবিহারের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে নেমে পড়েছেন সব অংশের নেতা-কর্মীরা।
এই প্রেক্ষিতে এদিন দলের জেলা পদাধিকারীদের কড়া বার্তা দেন দলের রাজ্য সভাপতি। সূত্রের দাবি, রাজ্য পার্টির শীর্ষ নেতারা জানতে পেরেছেন, তৃণমূলের থেকে টাকা নিয়ে বিজেপি’র একাংশ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বেনো জল সাফ করার কাজে নেমেছেন দিলীপবাবুরা। একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপবাবুর আবেদন, আগামী ২৩ মে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে ২৩টি আসন উপহার দিন। জেলা নেতৃত্বকে দলের রাজ্য সভাপতির পরামর্শ, আসন্ন লোকসভা ভোটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতজোড় করে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রার্থনা করুন। বলুন, নরেন্দ্র মোদিকে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করতে বিজেপি প্রার্থীদের জয়যুক্ত করে কেন্দ্রে মজবুত সরকার গঠনে শরিক হন।