বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, বিজেপির প্রার্থী তালিকায় ২৮ জনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর একদা সর্বক্ষণের কর্মী কিংবা ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন। রাজ্য বিজেপিতে সঙ্ঘের প্রভাব এখনও যে অটুট, তা প্রার্থী তালিকা থেকেই স্পষ্ট। দলের রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ নিজে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে আরএসএস-এর প্রচারক ছিলেন। সঙ্ঘ থেকেই তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বীরভূমের বিজেপির প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডলও দীর্ঘদিন আরএসএস-এর প্রচারক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জেলা সভাপতি পদে ছিলেন। তবে দলীয় মতপার্থক্যে দীর্ঘদিন পার্টির দৈনন্দিন কাজ থেকে সরে থাকলেও অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে বীরভূম কেন্দ্র থেকে দুধকুমারকেই সবচেয়ে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেছে দল।
অন্যদিকে, দলের অন্যতম দুই সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরী এবং সায়ন্তন বসু সঙ্ঘ প্রভাবিত। দুই নেতাই সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। সেখান থেকে বিজেপিতে তুলে আনা হয়েছিল। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় আরএসএস সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সঙ্ঘের সংগঠন সক্ষম ভারতের অন্যতম পদাধিকারী এই জয়ন্তবাবু আরএসএস ঘনিষ্ঠ হিসেবেই টিকিট পেয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার পেশায় কলেজের অধ্যাপক হলেও প্রবলভাবে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ। ওই কেন্দ্রে আরএসএস-এর তরফে যে গোপন সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাতে জয়ন্তবাবুর নাম ছিল সবার উপরে। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবের সঙ্গে সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ভাগবত কলকাতায় এসে কল্যাণের বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেছিলেন। স্বভাবতই তাঁর আরএসএস যোগ প্রকট হয়ে উঠেছে। একইভাবে বারাসত কেন্দ্রে প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ এবং আরামবাগের প্রার্থী তপন রায় দু’জনই আরএসএস ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সমঝোতা বিস্ফোরণ মামলায় সম্প্রতি বেকসুর খালাস পাওয়া হিন্দুবাদী নেতা অসীমানন্দের ভাই এই তপনবাবু।