বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর চাকরি পরীক্ষা হয়েছে মাত্র দু’বার। একবার ২০১২ সালে এবং পরেরটা ২০১৬ সালে। আর যদি শ্রেণী হিসেব করা হয়, তাহলে উচ্চ প্রাথমিকে দু’বার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে একবার করে হয়েছে। তবে ফল প্রকাশ নিয়ে দীর্ঘ আইনি জটিলতার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছে। এখনও যেমন উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। ফলে শূন্যপদ ক্রমশ বেড়ে যায়। আর ঠিক সময় নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ার ফলে স্কুলগুলিতেও শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হয়। আর তাই আগামী বছর থেকে প্রতি বর্ষেই এই নিয়োগ পরীক্ষা করার ব্যাপারে উদ্যোগী দপ্তর। বছরে যত শূন্যপদ হবে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষা করার ভাবনা রয়েছে তাদের। এছাড়াও এই নিয়োগ পরীক্ষার পর যতগুলি ধাপ রয়েছে, তাও কমানোর ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে। যেমন এখন লেখা পরীক্ষা পাশ করার পর একজন প্রার্থীকে প্রথমে ভেরিফিকেশন, তারপর ইন্টারভিউ, কাউন্সেলিং-এর মতো ধাপ পার করতে হয়। তাতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া যাতে কিছুটা ছোট করা যায়, তার জন্য সব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, নিয়োগ বিধি এখন ১৫ পাতার। তাতে অনেক কঠোর শর্ত বা রূপরেখা রয়েছে। কিন্তু সেগুলিও কিছুটা সরল করার জন্য আইনগত পরামর্শ নেওয়া হবে।
এদিকে, অনশনরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, এই প্রার্থীদের যা অভিযোগ, তা খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গড়া হয়েছে। তাতে রয়েছেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সচিব, দু’জন আইন অফিসার, এসএসসি’র চেয়ারম্যান এবং একজন ডেপুটি ডিরেক্টর। সেই অভিযোগের সারবত্তা থাকলে, ১৫ দিনের মধ্যে এসএসসির থেকে জেনে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু যে সব অভিযোগ এই অনশনকারীরা করছেন, তাতে খুব বেশি ভিত্তি নেই বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রার্থী বলছেন, বিজ্ঞপ্তির সময় যে শূন্যপদ থাকে, তা পরীক্ষার ফল প্রকাশের ১৫ দিন আগে পর্যন্ত কতয় দাঁড়ায়, তা হয় চূড়ান্ত শূন্য আসন। কিন্তু এই নিয়োগে তা করা হয়নি। কিন্তু আমরা তাঁদের দেখিয়ে দিয়েছি, কোনও অনিয়ম হয়নি। সব নিয়ম মেনেই হয়েছে। যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ দেওয়া হবে। তাতে কোনও আপস করা হবে না। এসবের পাশাপাশি অনশনকারীদের অনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন পার্থবাবু। শিক্ষামন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছেন, তাতে শুক্রবার রাত পর্যন্তও অনশন তুলে নেননি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, যে কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।