গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন, বিজেপির কোনও কর্মী এই কাজ করেনি। বসিরহাট কেন্দ্রের কোথাও এই ধরনের পোস্টারও লাগানো হয়নি। আসলে এই কেন্দ্রে হেরে যাবে বলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা এই ধরনের অপপ্রচার করছে। এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব। অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বিজেপির গ্রামস্তরের সদস্য থেকে রাজ্য নেতা সকলেই সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এসব নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এই জেলার পাঁচটি আসনেই তৃণমূল জয়ী হবে। দলীয় প্রার্থী নুসরত জাহানের কাছে বিজেপি প্রার্থী বাচ্চা ছেলে। আমাদের দলীয় কর্মীরা এখন নির্বাচনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এসব অকাজ করার কারও সময় নেই।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অশ্লীল পোস্টকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনাটি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিস তদন্ত শুরু করে। পরে, বিজেপির আইটি সেলের কনভেনারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও দিন কয়েক আগে বাগদার বিধায়ক দুলাল বরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্ক তৈরি হয়। মুকুল রায়ের হাত ধরে দুলালবাবু বিজেপিতে যোগদান করেন। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে যাতে তিনি প্রার্থী না হন তারজন্য একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও কর্মী জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে ফের বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর একটি পোস্টারকে নিয়ে বির্তক তৈরি হয়।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সায়ন্তন বসু হেভিওয়েট নেতা। দলের তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। ফলে, তাঁকে নিয়ে বসিরহাটের দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনে কোনও প্রশ্ন নেই। বরং, তিনি প্রার্থী হওয়ায় কর্মীরাও খুশি। অকারণে কেউ বা কারা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে।