গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন রাতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এক লিখিত বিবৃতিতে কংগ্রেসের জেতা দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে যে যার জেতা আসনে প্রার্থী না দেওয়া সংক্রান্ত সমঝোতার প্রাথমিক শর্ত সম্পর্কে বার্তা দিতে তাদের চার এমপি’র কেন্দ্র ছেড়ে বাকি সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানান। ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে মূলত সিপিএমের জেতা দুটি আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার পথ নেন। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস বামেদের সেই প্রস্তাবকে করুণা হিসেবে গণ্য করে দ্রুত তা নস্যাৎ করে। এদিনও তারা সেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানানোর পর সন্ধ্যায় বিমানবাবু কয়েকজন শরিক নেতার সঙ্গে কথা বলে মালদহ উত্তর ও জঙ্গিপুরে বাম প্রার্থী দেওয়ার কথা জানান। তবে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ থেকে দাবি তুলে নিলে তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথাও স্পষ্ট করেছেন এদিন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ধাপে ধাপে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি এভাবে দফাওয়াড়ি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পিছনে অন্য কৌশল রয়েছে বিমানবাবুদের। প্রকাশ্যে তাঁরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দলসমূহের সঙ্গে জনগণের তুল্যমূল্য সম্পর্কের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মূল কারণ হল, রাজ্যের মানুষকে এটা বোঝানো যে, বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে থাকা ভোট ঐক্যবদ্ধ করতে তাঁরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসই তাতে সাড়া দেয়নি। সুতরাং বোঝাপড়া ভাঙার দায় তাঁদের নয়, পুরোপুরি কংগ্রেসের। তবে কেন কংগ্রেস এই আচরণ করছে? এব্যাপারে বিমানবাবু ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিয়ে বলেছেন, রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী ঐক্য যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য কিছু মানুষ টাকার থলে নিয়ে নেমে পড়েছে। সেই চক্রান্তে কারা জড়িত, তা ভবিষ্যতে প্রকাশ পাবে।