পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের পিএফ সংক্রান্ত হাউজিং স্কিমটি কী? বলা হয়েছিল, যদি কোনও ব্যক্তি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনেন, তাহলে তিনি তাঁর পিএফ থেকেই ইএমআই মেটাতে পারবেন। ততদিন পর্যন্ত যে টাকা তিনি পিএফ বাবদ জমিয়েছেন, তার একটি বড় অংশও তিনি নিতে পারবেন বাড়ির কাজে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার মাথায় ছাদ গড়ার যে পরিকল্পনা গড়েছেন, তাকে বাস্তবায়িত করতেই এই প্রকল্প আনে পিএফ দপ্তর। তবে শর্ত বেঁধে দেয়, কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা একজোট হয়ে কোঅপারেটিভ গড়লে, তবেই গৃহ ঋণের সুবিধা পাওয়া যাবে। এই স্কিমটিতেই আগ্রহ নেই পিএফ গ্রাহকদের। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে এমন ঋণ পাননি কেউই।
সমস্যা কোথায়? পিএফ কর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ওই আবাস প্রকল্পে শর্ত আরোপ করেছে, সোসাইটি বা সমবায় গড়লেই পাওয়া যাবে স্কিমের সুবিধা। সেখানেই আপত্তি করছেন কর্মচারীরা। সেই সমস্যা মেটাতেই আসরে নামে এপিএফও। হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড বা হাডকো’র সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করে পিএফ দপ্তর। এর পর বলা হয়, এবার এককভাবে পিএফ গ্রাহক বাড়ি তৈরির জন্য হাডকো’র থেকে ঋণ নিতে পারবেন। কিন্তু তাতে বহু শর্ত যোগ করে দেওগায়, আলাদা করে কোনও আগ্রহ দেখাননি কেউই। ওই শর্তাবলীর গেরোয় পিছিয়ে যাচ্ছেন কর্মচারীরা।
তাহলে উপায়? কলকাতায় পিএফ দপ্তরের কতরারা বলছেন, আসলে সরকারের ইদ্দেশ্য মহৎ হলেও, তা নিয়ে এত জটিলতা আছে, প্রকল্পটিকে বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না। আসল সমস্যা ওই কো-অপারেটিভ গঠন করা নিয়েই। কর্মীরা তাতে রাজি হচ্ছেন না। আবার কেকভাবে করার ক্ষেত্রেও যে শর্ত আছে, তা কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক জটিলতার ফাঁসে আটকে গিয়েছে স্কিমটি। সেটি নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক ভাবনাচিন্তা করছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু আপাতত যে স্কিমটি জনপ্রিয় হবে না, তাতে মোটামুটি নিশ্চিত পিএফ কর্তারা।