বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত আলু কেনা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যবস্থাপনা করতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে হিমঘরগুলি সরকারের হয়ে চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনবে, এমন ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্লক অফিস থেকে যে চাষিদের নামের তালিকা পাঠানো হবে, তাদের কাছ থেকেই আলু কেনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করা ও চাষিদের তালিকা তৈরির মতো কাজ করতে বেশ কিছুদিন সময় পেরিয়ে যায়। আলু কেনার প্রক্রিয়া মোটামুটি গত সপ্তাহে ভালোভাবেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকে তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’হাজার টনের কিছু বেশি আলু কেনা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। যেখানে গোটা রাজ্যে ১০ লক্ষ টন আলু সরকারি উদ্যোগে কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দোল উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তাই বুধবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্র না পেলে চলতি সপ্তাহে ফের আলু কেনার প্রক্রিয়া দক্ষিণবঙ্গে শুরু করা বেশ কঠিন বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু এই সময়টাই আলু কেনার আসল সময়। নতুন আলু মাঠ থেকে প্রচুর পরিমাণে উঠতে শুরু করছে। চাষিরা এই সময় বেশি আলু বিক্রি করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকাররি উদ্যোগে আলু কেনা না হলে চাষিরা তা খোলাবাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হবেন। এতে দাম বেশ কিছুটা কম মিলতে পারে। সাড়ে পাঁচ টাকা কেজি দরে সরকার আলু কিনবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অকাল বৃষ্টির জন্য কিছু আলু নষ্ট হলেও এখনও খোলাবাজারে দাম খুব একটা বাড়েনি। মাঠ থেকে চার টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। নিজের খরচে হিমঘরে আলু না রেখে সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারলে কিছুটা বেশি দাম পেতেন চাষিরা।
আলু কেনার জন্য টাকার অভাব নেই। হিমঘরগুলির জন্য সমবায় ব্যাঙ্কে বিশেষ অ্যাকাউন্ট খুলে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঋণের সর্বোচ্চ মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আলু কেনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলে এক হিমঘর মালিক জানিয়েছেন।