গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জ্যোতি আলুর দর বাজার ভেদে প্রায় ১০ টাকা হলেও, চন্দ্রমুখী আলু নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। বাজারে যেখানে মাস কয়েক আগে আলু এসেছে, সেখানে চন্দ্রমুখীর দর এখনও ১৮ থেকে ২০ টাকা। কেন এই হাল, তা ঠাহর করতে পারছেন না অনেকেই। অন্য প্রায় সব ক্ষেত্রেই ছ্যাঁকা দিচ্ছে বাজারদর। নজর দেওয়া যাক সদ্য শেষ হওয়া শীতের আনাজের দিকেই। বাজারে এখনও ফুলকপি আছে। কিন্তু সংখ্যায় কম। তার দর ২৫ থেকে ৩০ টাকা। রয়েছে বাঁধাকপিও। চেহারায় জৌলুস খোওয়ালেও, দর কেজি প্রতি ২০ টাকার আশপাশে। সিমের দর ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কড়াইশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। যদিও তার স্বাদ বা দর্শন— কোনওটিই তেমন জুতসই নয়। বিট-গাজর বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। টোম্যাটোর দর প্রায় ৩০ টাকা। বাজারে পালং শাক প্রায় নেই। থাকলেও, তার দর ৩০ টাকার আশপাশেই। ওই একই দরে অবশ্য বিক্রি হচ্ছে লাল রঙের নোটে শাকও। তুলনায় সামান্য সস্তা পুঁইশাক। তার দর কেজি পিছু ২০ টাকা। বেগুনও ৩০ টাকার আশপাশে। ক্যাপসিকামের দর গুণমানের নিরিখে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। বিনস পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ওই একই দামে।
বাজারে নতুন এসেছে পটল। দেখতে মোটেই আহামরি নয়। কিন্তু দামের গুমর বেশ। কখনও তা ৮০ টাকা, কোথাও ১০০ টাকা। ঝিঙের কিলো ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কুমড়োর দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। সজনে ডাঁটার কিলো ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। অনেকে অবশ্য দাবি করেছেন, বসন্তে ঘনঘন কালবৈশাখী ও বেশি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে ফসল। তাই দর এত চড়া। মোট কথা, খাবার পাতে কোনও না কোনও পদ সাজাতে ন্যূনতম যেটুকু আনাজ না হলেই নয়, সেটুকুও জোগাড় করতে অতি চড়া দাম মেটাতে হচ্ছে, বলছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, বাজারে এখন মাছের বেশ আকাল। কাটা পোনা ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার নীচে নেই। চারা মাছও ১৬০ টাকার আশপাশে। সবাইকে টেক্কা দিয়েছে মুরগির মাংস। তার দর ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা। বেড়েছে ডিমের দামও। ১১ টাকা জোড়ার নীচে পোলট্রির ডিম নেই প্রায় কোনও বাজারেই। ভোটের পারদ চড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারদরের আঁচ কি পড়বে? এখন মধ্যবিত্তের কাছে এটাই বড় চিন্তা।