কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সিপিএম সূত্রের খবর, আসন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি আদৌ যুক্তিগ্রাহ্য নয় বলে রবিবার দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ফোনে বিস্তারিত কথা বলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ২০১৪ সালে রাজ্যে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সময় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন আসনে কংগ্রেস এককভাবে লড়ে কত শতাংশ ভোট পেয়েছিল, তার পরিসংখ্যান রাহুলকে পাঠিয়ে দেন ইয়েচুরি। ২০১৬ সালে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার ফলেই কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বেড়েছিল বলেও কংগ্রেস সভাপতির কাছে দাবি করেন সীতারাম। সিপিএমের শীর্ষ নেতা রাহুলকে সাফ জানান, এই অবস্থায় বামেরা কংগ্রেসকে যে সব আসন ছাড়ছে, তা শুধু যুক্তিপূর্ণ নয়, এক কথায় যথেষ্ট। তাই এরপরও যদি কংগ্রেস সমঝোতা না করতে চায়, তাহলে তাঁদের পক্ষে আর কিছু করা সম্ভব নয়। সীতারামের সঙ্গে কথোপকথন এবং প্রাপ্ত পরিসংখ্যান দেখার পর সোমবার সকালে দিল্লি থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়ার আগে রাহুল এআইসিসি’র কর্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিলেও, পরে তা নিজে পর্যালোচনা করবেন বলে নিজেই জানিয়ে দেন। সেই কারণে এদিন রাজধানীতে থেকে যেতে হয় সোমেনবাবুকে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখের মধ্যে রাহুল এই পর্যালোচনার কাজ সারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁর তরফ থেকে একেবারে শেষ মুহূর্তে কোনও বার্তা আসে কি না, সেটা দেখে নেওয়ার জন্যই এদিন ইয়েচুরির পরামর্শে বাকি ১৭টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন বিমানবাবুরা। যদিও ফ্রন্ট বৈঠকে এই কারণ সবিস্তারে জানাননি তিনি। তাঁদের দলের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করার জন্য সময় নেওয়ার কথাই তিনি শুধু জানান শরিক নেতাদের।
নিজেদের এই কৌশলের কারণে এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায়নি বিমানবাবুকে। তবে প্রশ্নের উত্তরে তিনিও আসন ধরে ধরে ২০১৪ সালে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্যে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য আমরা অনেক আগেই আহ্বান জানিয়েছি। এই লক্ষ্যে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রস্তাব দিই। গোড়াতেই আমরা ঠিক করেছিলাম, এই দুই শিবিরের জেতা ছ’টি আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেব না। সেই অনুযায়ী আমরা প্রথম দফায় শুধু আমাদের জেতা দুই আসন রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম জানাই। তারপর দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলে। আমরা তথ্য-পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে পরবর্তীকালে আরও ২৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করি। আমরা কিন্তু কাউকে কত আসন দেব, আর নিজেরাই বা কত নেব, সেবিষয়ে কথা দিইনি। দু-একটি আসনে গণআন্দোলন থেকে উঠে আসা সর্বসম্মত প্রার্থী দেওয়ার কথাও বিবেচনা করেছি। বীরভূম কেন্দ্রে ডাঃ রেজাউল করিমকে সেই অঙ্কেই প্রার্থী করা হয়েছে। উনি চিকিৎসক আন্দোলনের অন্যতম মুখ। বর্তমানে উনি কংগ্রেস বা সিপিএম— কোনও দলেরই সদস্য নন। তাই কংগ্রেসের লোককে আমরা প্রার্থী করে দিয়েছি, এই অভিযোগ আদৌ সঠিক নয়।