কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে জোট করে লড়ার পর থেকেই এই দুই রাজনৈতিক শিবির বিধানসভার ভিতরে নিজেদের মধ্যে নিয়মিত তালমিল রেখেই চলেছে। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সদনের ভিতরে একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে দিনের পর দিন। বিক্ষোভ বা ওয়াকআউট থেকে শুরু করে নানা সমসাময়িক ইস্যুতে মুলতুবি ও অনাস্থা প্রস্তাব আনার ব্যাপারেও জোটের ছবি দেখা গিয়েছে বারবার। বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এই তালমিল রক্ষার জন্য গত তিন বছরে শতাধিক বৈঠকও করেছেন। আনুষ্ঠানিকতার বেড়া এড়িয়ে দুই নেতা একাধিকবার মুড়ি-তেলেভাজার আসরেও আড্ডা মেরেছেন। বিধানসভায় বিরোধী ব্লকের এই সার্বিক জোট ছবি ধরা পড়েছে নিয়মিতই। এমনকী, রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি’কে তৃণমূল সমর্থন করে সিপিএমের রবীন দেবের বিরুদ্ধে জিতিয়ে আনার পরও মান্নান-সুজনদের সমীকরণে তেমন কোনও পরিবর্তন ধরা পড়েনি।
প্রত্যাশিতভাবে ভোটের লড়াইয়ে আসন নিয়ে দুই শিবিরের আকচা-আকচির জেরে বাম-কংগ্রেসের এহেন মধুচন্দ্রিমায় ইতি পড়তে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দুই শিবিরের পরিষদীয় দলেও এনিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সিপিএম শিবির যার পর নাই ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত দু’পক্ষের জোটের আদি প্রবক্তা হিসেবে চিহ্নিত মান্নানের ভূমিকা নিয়ে। দীপা দাশমুন্সি বা শঙ্কর মালাকারদের মতো কংগ্রেস নেতানেত্রীদের পাশাপাশি এবার সিপিএম তথা বাম দলগুলির অনুরোধ মেনে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা মানতে রাজি হননি মান্নানও। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই জোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন। চাপান-উতোরের মধ্যেই সুজনবাবুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার কথা হয়েছে। কিন্তু সিপিএমের শর্ত মেনে জোট করার পক্ষে তিনি কখনওই রাজি হননি। এই অবস্থায় বিধানসভার ভিতরেও যে আর আগের মতো তালমিল থাকবে না, সে কথা অস্বীকার করছেন না স্বয়ং মান্নানও। আর তার সুবিধা যে সরকারপক্ষ পাবে, তাও মানছেন তিনি। খাতায়-কলমে না হলেও দলের ১৮ জন বিধায়ক শিবির পাল্টানোয় কংগ্রেসের যে আর প্রধান বিরোধী দল বা তাঁর নিজের বিরোধী দলনেতার মর্যাদা নেই, সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি। সুজনবাবু বলেন, জনস্বার্থবাহী কোনও ইস্যুতে বিধানসভার ভিতরে তালমিল চালাতে তাঁদের কোনও আপত্তি থাকবে না। বরং রাজ্যে কারা সাচ্চা তৃণমূল বিরোধী, সেটা প্রমাণ হবে তখন।