রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিকে, এ কে গোপালন ভবন সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে দলের বঙ্গ ব্রিগেডের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কারণ প্রথমত এর ফলে ইয়েচুরি শিবিরকে আরও বেশি কোণঠাসা করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস সখ্যের বিরুদ্ধে থাকা কট্টরপন্থী প্রকাশ কারাত লবি। আর দ্বিতীয়ত কংগ্রেসের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা ছাড়াই প্রথম দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্য বামফ্রন্ট। এর ফলে ইয়েচুরির উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাহুল গান্ধীও। গত ১৫ মার্চ রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে বাংলার মোট ২৫ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ফেলেন পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতারা। কংগ্রেসের অভিযোগ, মুখে আসন সমঝোতার কথা বললেও একতরফা ওই ২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে তাদের সঙ্গে কথাই বলেনি সিপিএম এবং বামেরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াদিল্লির এ কে গোপালন ভবনের অন্দরের খবর, প্রার্থী তালিকা সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে ঘোষণা করা হলেও এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়েই তা প্রকাশ করতে হয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চেয়েছিল, নাম ঘোষণার আগে যেন বঙ্গ সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে। কিন্তু এই বিষয়টিকে দলের বাম নেতৃত্ব সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছে বলেই খবর। যদিও আজ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতেই রাজি হননি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। দলের অন্দরের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, সিপিএম এখনই হাল ছাড়বে না। কারণ রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বললেও কংগ্রেস ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ফলে পরবর্তী ৩২টি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে ফের তাদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলাই থাকছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে সিপিএমের মরিয়া মনোভাব প্রমাণ করছে, পশ্চিমবঙ্গে দলের সংগঠন কতটা দুর্বল।
যদিও এই গোটা ঘটনাপ্রবাহে ফের বিভাজিত হয়ে গিয়েছে সিপিএম শিবির। বিশেষ করে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন বাংলায় তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় সায় দিয়ে দেওয়া হল সীতারাম ইয়েচুরি ও তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত বঙ্গ ব্রিগেডকে এখন সেই প্রশ্নই করছেন কট্টরপন্থীরা। গত ৩ এবং ৪ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটির দু’দিনব্যাপী ওই বৈঠকে সিপিএম আগ বাড়িয়েই ঘোষণা করেছিল, কংগ্রেস এবং সিপিএমের জেতা আসনগুলিতে কেউ কারও বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না (‘নো মিউচুয়াল কনটেস্ট’)। একইভাবে সিপিএম ঘোষণা করেছিল, পশ্চিমবঙ্গের মতোই তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, বিহার, ওড়িশাতেও কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যভিত্তিক আসন সমঝোতার পথেই হাঁটবে তারা। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতির প্রভাব এবার উল্লিখিত রাজ্যগুলিতেও পড়বে কি না, সেই আশঙ্কাই করছেন সিপিএম নেতারা।
সোমেনবাবুর জমা দেওয়া নাম অনুযায়ী ঘোষিত হয়েছে প্রার্থী তালিকা। ঘোষিত তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন, দীপা দাশমুন্সি (রায়গঞ্জ), আবু হেনা (মুর্শিদাবাদ), আবু হাসেম খান চৌধুরী (মালদহ দক্ষিণ), ঈশা খান চৌধুরী (মালদহ উত্তর), শঙ্কর মালাকার (দার্জিলিং), সাদিক সরকার (বালুরঘাট), মণি দারনাল (জলপাইগুড়ি), মোহন বসুমাতা (আলিপুরদুয়ার), অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় (জঙ্গিপুর)। কোচবিহার কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয়া রায়চৌধুরী এবং বহরমপুরে অধীররঞ্জন চৌধুরী।