কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি এবং ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান সীতারাম শর্মা বলেন, জনসমীক্ষা বলছে, কলকাতার মোট অধিবাসীর ৫৫ শতাংশ বাঙালি। বাকি ৪৫ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ দখল করে রয়েছে হিন্দিভাষীরা। কিন্তু সেই তুলনায় এখানে অবাঙালি ভোটপ্রার্থীর মুখ নগন্য। তাঁর বক্তব্য, ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কোনও হিন্দিভাষী এ রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ছিলেন না। ২০১৬ সালে লক্ষ্মীরতন শুক্লা একমাত্র মন্ত্রী হিসেবে সেখানে ঠাঁই পান। অন্যদিকে বিধানসভায় মাড়োয়ারি সমাজের হয়ে মাত্র দু’জন বিধায়ক ছিলেন এতদিন। তাঁরা হলেন বৈশাখী ডালমিয়া এবং কানাইলাল আগরওয়াল। অথচ ১৯৫২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে বিধানসভায় ধাপে ধাপে কমেছে মাড়োয়ারি প্রতিনিধিত্ব। এমনকী সংসদেও ১৯৫২ সালের পর থেকে এ রাজ্যের দু’জন মাত্র হিন্দিভাষী মন্ত্রী প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁরা হলেন এসএস আলুওয়ালিয়া এবং দিনেশ ত্রিবেদি। তবে অভিষেক মনু সিংভি বা কেডি সিং’কে এই তালিকায় রাখতে চান না সীতারাম শর্মা। তাঁর বক্তব্য, বাংলা থেকে টিকিট পেলেও, তাঁরা কেউ বাংলায় থাকেন না।
চেয়ারম্যানের দাবি, এই বাংলায় ভোট দিতেও বেশ খানিকটা অনীহা রয়েছে মাড়োয়ারি ও হিন্দি সম্প্রদায়ের মধ্যে। তার উদাহরণ, যেখানে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে গড় ভোট পড়েছিল প্রায় ৮৫ শতাংশ, সেখানে হিন্দিভাষী অধ্যুষিত এলাকা জোড়াসাঁকোয় ভোটের হার ৫৩.৭৩ শতাংশ। সীতারামবাবুর দাবি, তাঁরা এই নিয়ে যেমন সংগঠনের সদস্যদের বুঝিয়েছেন, তেমনই সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও হাত মিলিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দাবি, যেখানে হিন্দিভাষীদের বসবাস, সেখানে কেন হিন্দিভাষীকেই সংসদে বা বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া হবে না? সেক্ষেত্রে তাঁদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যে কোনও সমাজিক দরকষাকষির সুযোগ থাকবে। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা কোনও সংরক্ষণের পক্ষে নন। কিন্তু হিন্দিভাষী ও মাড়োয়ারি সমাজের ভোটারদের উৎসাহ দিতেই তাদের প্রতিনিধিত্ব জরুরি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছেও দরবার করবেন বলে জানিয়েছেন সীতারামবাবু।