পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এতদিন মাধ্যমিকের টেস্টে স্কুলগুলি বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের তৈরি করা টেস্ট পেপারের বই কিনে, তার থেকে প্রশ্ন করত। কিন্তু এবার তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে স্কুলের শিক্ষকরাই সেই প্রশ্ন করেছেন। এবার সেরকম নিয়মই লাগু হচ্ছে ক্লাসের পরীক্ষাগুলিতেও। একটি ক্লাসে বছরে তিনটি ইউনিট টেস্ট বা সামেটিভ পরীক্ষা হয়। তার প্রশ্নও এবার শিক্ষকদেরই করতে হবে। পর্ষদ সূত্রে খবর, সব স্কুল শিক্ষকদের দিয়ে এই পরীক্ষার প্রশ্ন তৈচরি করত না। বাইরে থেকে প্রশ্ন কিনে তার উপরই পরীক্ষা নেওয়া হত। তা আর করা যাবে না বলেই ঠিক করা হয়েছে। তবে কীসের ভিত্তিতে প্রশ্ন করা হবে, তার জন্য পর্ষদ থেকে মডেল প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে স্কুলগুলিকে। কিছুদিন বাদেই তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পর্ষদ। এক কর্তার কথায়, যাঁরা পড়াচ্ছেন, তাঁরা তো ভালো করে জানবেন, কী পড়ানো হল। তাই শিক্ষকরা প্রশ্ন করলে, তার মান কিন্তু অন্য রকম হবে। কেনা প্রশ্নের উপর পরীক্ষা পরিচালনা করার কোনও যুক্তি নেই। তবে স্কুলগুলিকে তাদের নাম প্রশ্নপত্রের উপর লিখতে বলা হয়েছে। তার মানে কি স্কুলগুলির তৈরি করা প্রশ্নপত্রের নমুনা বোর্ডেও পাঠাতে হবে? পর্ষদের বক্তব্য, এখনও এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রয়োজনে সেরকম কিছু করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এটি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত লাগু হচ্ছে। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণী তাহলে কোথায় যাবে? শিক্ষকদের অভিযোগ, এখনও বহু স্কুল কিন্তু প্রাথমিকের অধীনে যায়নি। তবে পর্ষদ আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইন মেনে করা হয়েছে। এতে কোনও অসুবিধা হবে না। সেরকম বিভ্রান্তি তৈরি হলে, পঞ্চম শ্রেণীর জন্য নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হবে। তবে ক্লাসের পরীক্ষার জন্যও বোর্ডের এমন পদক্ষেপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে শিক্ষামহলে। তাদের একাংশের মতে, এতে শিক্ষকদের গুরুত্ব বাড়বে। বহু স্কুলই দায়সারা ভাবে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নিয়ে নিত। তাতে কতটা মান বজায় থাকল, বোঝা যেত না। কিন্তু এবার আর সেরকম হবে না। তবে অপর অংশের মতে, এত দেরিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে যে সময় অনেক কম পাওয়া যাবে। তাছাড়া বহু গ্রামাঞ্চলের স্কুলে সব বিষয়ের শিক্ষকই নেই। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন করতে সমস্যা হতে পারে।