বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চাকরি পাওয়ার জন্য এই পোর্টালে নাম লিখিয়েছিলেন দেশের ১৩ কোটি ২১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে এই রাজ্যের ২ কোটি ২০ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪৭ জন। মহিলা প্রার্থী ২৫.৩৫ শতাংশ। পুরুষ প্রার্থী ১৮.৩০ শতাংশ। বোঝাই যাচ্ছে, মহিলাদের মধ্যে চাকরি পাওয়ার খিদে বেশি। তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, এখান থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ৩৩.৪০ শতাংশ প্রার্থী এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু এ রাজ্যের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের যদি তুলনা করা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ রাজ্যেই গড়ে এক থেকে ছয় শতাংশ প্রার্থীর নাম রয়েছে এই পোর্টালে। কোনও কোনও রাজ্যে তো আবার এক শতাংশেও পৌঁছয়নি।
এ রাজ্যের চেয়ে এই পোর্টালে নাম লেখানোর হিড়িক বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ৬৬ শতাংশ মানুষ চাকরির জন্য পোর্টালের দ্বারস্থ হয়েছেন। দেশের মধ্যে এটাই সর্বাধিক বলেই জানা গিয়েছে। গুজরাতে মাত্র ১.১৬ শতাংশ পুরুষ এবং ০.৮৬ শতাংশ মহিলা এখানে নাম লিখিয়েছেন। মোট নথিভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩.৪২ শতাংশ পুরুষ এবং ৬.১১ শতাংশ মহিলা আছেন। কেরলে তো জাতীয় সংখ্যার বিচারে মহিলা ও পুরুষের হার এক শতাংশও অতিক্রম করেনি। বিহারের ১১.৩৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৫.৭৭ শতাংশ মহিলা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। রাজস্থানে মহিলা ও পুরুষদের হার যথাক্রমে ৬.৭৯ এবং ৬.৩৫ শতাংশ। বেশিরভাগ রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে মহিলাদের হারই বেশি।
রাজ্য থেকে এই পোর্টালে নাম লেখানোর প্রবণতা এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে। পোর্টালের তথ্য বলছে, গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলা থেকে ১৭ হাজার ৬৪৪ জনের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছিল। পরের মাস থেকে সেই সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে তা অনেকটাই কমে যায়। আবার সেই সংখ্যা বাড়ে এ বছরের জানুয়ারিতে। ফেব্রুয়ারিতেই ১৫ হাজার ৫১ জন নিজেদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। এছাড়াও যোগ্যতামান অনুযায়ী এই চাকরির পোর্টালে রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি একাদশ শ্রেণী পাশ প্রার্থীরা লিখিয়েছেন। সেই তুলনায় কিন্তু গ্র্যাজুয়েট পাশ করা প্রার্থীদের সংখ্যা কম। রিপোর্ট বলছে, ১৪.৭৫ শতাংশ স্নাতক প্রার্থী এই পোর্টালে নাম লিখিয়েছেন। আর স্কুলে না গিয়ে নাম লিখিয়েছেন ১৮.৫৫ শতাংশ। কর্মরত নন, গোটা দেশে এমন ৭৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭১৩ জন নাম লিখিয়েছেন। এর মধ্যে রাজ্য থেকেই আছে ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৯ জন। শতাংশের হারে তা ২৫ শতাংশ।