বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবার ইংরেজি, হিন্দি, অসমিয়া, বাঙালি, গুজরাতি, কন্নড়, মারাঠি, ওড়িয়া, তামিল, তেলুগু এবং উর্দু— এই ১১টি ভাষায় পরীক্ষায় বসছেন ছাত্রছাত্রীরা। ১৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এই পরীক্ষায়। মোট নম্বর থাকবে ৭২০।
কিন্তু, হঠাৎ করে এ বছর এত বেশি ছাত্রছাত্রী হওয়ার কারণ কী? সূত্রের খবর, দেশজুড়েই চালু হওয়া বিভিন্ন নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলির কল্যাণে আসনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া পঁচিশোর্ধ্ব ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সম্মতিদান এবং অনাবাসী ছাত্রছাত্রীদেরও একমাত্র নিটের মাধ্যমেই ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্র মেলার সরকারি সিদ্ধান্ত— এই দুটিও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, যত দিন যাচ্ছে, দেশে চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্কও আগের মতো নেই। বরং গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন ফোরাম ও সরকারি এজেন্সির দ্বারস্থ হচ্ছেন হাজার হাজার রোগী ও বাড়ির লোকজন। এমন পরিস্থিতিতেও ডাক্তারি পড়তে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে চলার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
সূত্রের খবর, গত বছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালেও দেশের মোট ৬০ হাজার মেডিক্যাল আসনের জন্য ছাত্রছাত্রীরা মেধা যাচাইয়ে প্রথম সর্বভারতীয় বড় পরীক্ষায় নেমেছিলেন। এই ৬০ হাজারের মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। এবার সেই আসন সংখ্যা ৬০ হাজার থেকে বেড়ে ৭০-৭২ হাজার হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাতেও আরও নতুন ১০টি মেডিক্যাল কলেজ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকেই ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য জোর তোড়জোড় শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ফলে বাংলাতেও সাকুল্যে মেডিক্যালের আসন সংখ্যা ন্যূনতম আরও এক হাজার বাড়বে। বর্তমানে রাজ্যে ১৩টি রাজ্য সরকারি এবং একটি কেন্দ্রীয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজও রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ডেন্টাল কলেজ রয়েছে ছ’টি। ২০২১ সালের মধ্যে শুধু সরকারি মেডিক্যালের সংখ্যাই বেড়ে হতে পারে ২৩টি।