গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙা, শাসন, হাড়োয়া, দেগঙ্গা, মিনাখাঁ, বসিরহাট ও সন্দেশখালি প্রভৃতি এলাকার বেশকিছু অংশে পেটো বোমা তৈরি হয়। এখানে যে কোনও গণ্ডগোলেই পেটো ফাটে। এইসব এলাকায় প্রচুর বোমার কারবারিও রয়েছে। তাদের নিজেদের কারিগরও আছে। যে কোনও নির্বাচনে ওই কারবারিরা কারিগরদের বরাত দেয়। আগে বারুদের সঙ্গে পেটো বোমার ভিতর ছোট ছোট জালের কাঠি ভরা হতো। তারপর লোহার বল, লোহার টুকরো এবং কাঁচের টুকরো ভরা হতো। যাতে যেখানে বোমা ফাটবে, সেখানে আশপাশ এলাকার মানুষও জখম হয়। সম্প্রতি, পুরনো উপকরণ বদলে পেটো বোমায় ব্যবহৃত হচ্ছে বঁড়শির কাঁটা। যা উড়ে এসে শরীরে লাগলে ঘায়েল হতেই হবে। কারণ, বঁড়শির কাঁটার মুখে হুক করা থাকে। অর্থাৎ টেনে বের করা সম্ভব নয়। অনেকে বলছেন, এবার এই কাঁটা বোমাও নাকি মার খাচ্ছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনেক আগে থেকে আমডাঙায় কয়েক হাজার বোমা তৈরির বরাত পেয়েছিল কারবারিরা। শুধু পেটো নয়, বোতল বোমা, কৌটো বোমা, সকেট বোমা এমনকী, সেখানে হ্যান্ড গ্রেনেডের আদলেও বোমা তৈরি করা হয়েছিল। যা মারাত্মক শক্তিশালী। ওই বোমা তৈরি করার জন্য স্থানীয় কারিগররা তো ছিলই, পাশাপাশি ভিন জেলা থেকেও কারিগর নিয়ে আসা হয়েছিল। স্থানীয়দের কথায়, পেটো বোমা তৈরির জন্য বাইরে থেকে বোমার মশলা কিনে আনা হয়। কিন্তু এবার মশলা কিনে আনার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি রয়েছে। কারণ পুলিস-প্রশাসন খুবই সক্রিয়। তারা এলাকায় নজরদারি করার পাশাপাশি এলাকায় টহলও দিচ্ছে। পাশাপাশি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া একের পর দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার কয়েকটি জায়গা থেকে বেশকিছু বোমাও উদ্ধার হয়েছে। দিন দু’য়েক আগেই আমডাঙা থেকেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। এই ধরপাকড়ের জেরেও অনেকে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই ‘ভাঁটা পড়েছে’ পেটোর বরাতে।
পুলিস জানিয়েছে, সমস্ত এলাকায় নজরদারি চলছে। বোমা তৈরির ব্যাপারে কোনও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও ওই ধরনের অভিযোগ আসেনি।