পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাস মালিক সংগঠনগুলি সূত্রের খবর, ভোটের জন্য বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই বাস রিক্যুইজিশন শুরু করেছে পুলিস ও মোটর ভেহিকেলস দপ্তর। কলকাতার ক্ষেত্রে পুলিসের পাশাপাশি বাস রিক্যুইজিশন করছে পাবলিক ভেহিকেলস ডিপার্টমেন্ট (পিভিডি)। পিভিডির এক কর্তা বলেন, বাস যে সংস্থাই রিক্যুইজিশন করুক না কেন, তাকে ‘সুগম’ অ্যাপে বাসের তথ্য ‘আপলোড’ করতে হবে। তাতে একটি নির্দিষ্ট দিনের ভোটের জন্য একটা বাসকেই দু’বার রিক্যুইজিশনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। তবে, একটি বাসকে একাধিক দিনের নির্বাচনে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে একবার বাসটিকে ‘রিলিজ’ করার পরই দ্বিতীয়বার বাসটির তথ্য অ্যাপে আপলোড করা সম্ভব হবে।
পিভিডি সূত্রের খবর, আপাতত বাসের ম্যানুয়াল রিক্যুইজিশন করা হচ্ছে। আগামী দিনে সেসব বাসের তথ্য সুগম অ্যাপে আপলোড করার কাজ হবে। একই কথা জানিয়েছেন একাধিক আরটিও-ও। কলকাতার জন্য কত বাস লাগবে, তাও ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা উত্তরের জন্য ২৮৪টির বেশি সাধারণ বাস কলকাতা পিভিডি রিক্যুইজিশন করবে। মিনিবাস রিক্যুইজিশন করা হবে ৩০৫টি। তেমনই কলকাতা দক্ষিণের জন্য ১২৫টির বেশি সাধারণ বাস রিক্যুইজিশন করা হবে। তার বাইরে কমবেশি ২০০টি মিনিবাস নেওয়া হবে।
বাস মালিকদের বক্তব্য, একই বাস নিয়ে একটি দফার ভোটে টানাপোড়েন বন্ধ করার পাশাপাশি ভাড়াতেও সমতা আনতে হবে। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই পুলিস ও প্রশাসনের নেওয়া বাসে পৃথক ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এবার ইতিমধ্যেই বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে। যে সংস্থাই বাস নিক, ভাড়ায় সমতা আনতে হবে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতার জন্য পিভিডি ইতিমধ্যেই বাসের রিক্যুইজিশন শুরু করেছে। পুলিসও বাসের রিক্যুইজিশন করছে। এবার যাতে একটি বাস নিয়ে টানাপোড়েন না হয়, তা দেখতে হবে। মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, ভোটে সাধারণ বাসের পাশাপাশি বহু মিনিবাসও নেওয়া হয়। গতবারের তুলনায় এবারে বাস চালানোর খরচ বেড়েছে। কাজেই ভোটের বাসের ভাড়াবৃদ্ধি জরুরি।