কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন অরূপবাবু বলেন, গত সাত বছরে গোটা রাজ্যে যা উন্নয়ন হয়েছে, তার জেরেই আমরা ৪২টি আসনই দখল করব। কিন্তু আমরা সকলেই ধর্মে বিশ্বাস করি। আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে না পেরে বিজেপি চক্রান্ত ও কুৎসা করছে। আমরা এদিন যজ্ঞ করে অশুভ শক্তির বিনাস করার চেষ্টা করেছি। রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী বলেন, দু’একজন কে দলে এল, আর কে দল ছেড়ে চলে গেল, তাতে দলের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। বিজেপি টাকার থলি নিয়ে বাজারে বেড়িয়েছে। হাওড়ার প্রার্থী প্রসূনবাবু বলেন, হাওড়ার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আবার দিয়েছেন। আমি মনে করি, হাওড়ার মানুষ আবার আমাকে আশীর্বাদ করবেন।
এদিন উমেশ ব্যানার্জি লেনে মাঠের মধ্যে সকাল থেকেই যজ্ঞের আয়োজন শুরু হয়। একটি বড় ফ্লেক্সে দলের ৪২ জন প্রার্থীর ছবি দেওয়া ছিল। এছাড়া অন্য একটি ফ্লেক্সে হাওড়ার প্রার্থী প্রসূনবাবুর ছবি ছিল। মাঠের মধ্যে ৯টি বড় হোমকুণ্ড তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ৯ জন পুরোহিত বসে যজ্ঞ করছিলেন। তার সামনেই একটি বড় ঘট বসানো হয়েছিল। যজ্ঞ শুরুর আগে ওই ঘটে পুজো করা হয়। তারপর দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে যজ্ঞ। প্রচণ্ড গরমেও এলাকার প্রচুর মানুষ এই যজ্ঞ দেখতে ভিড় করেন। যজ্ঞের উদ্যোক্তা শ্যামল মিত্র বলেন, রাজ্যের সব ক’টি আসনই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই যজ্ঞ করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, আমাদের বিরুদ্ধে যত চক্রান্ত হবে, ততই আমাদের জয়ের ব্যবধান বাড়বে।
এদিকে, এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূনবাবু। এদিন উত্তর হাওড়ার সালকিয়ায় পদযাত্রা করেন। এলাকা লোকজনের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও উত্তর হাওড়ার তৃণমূলের সভাপতি গৌতম চৌধুরী। তবে পিছিয়ে নেই সিপিএমও। সিপিএম হাওড়া কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও উলুবেড়িয়ায় তাদের প্রার্থী মুকসুদা খাতুন। এদিন দলীয় দপ্তরে বৈঠকের পর এলাকায় প্রচার সারেন সিপিএম প্রার্থী। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা না করলেও এলাকায় প্রচার শুরু করেছে বিজেপিও এদিন উলুবেড়িয়ায় বিজেপি পথসভা করে।