পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সকালে কলকাতায় এসে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার প্রথমে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বিজেপি ও কংগ্রেস সব বুথকে অতি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে ঘোষণার দাবি করে। তৃণমূল অবশ্য মনে করে, এসব বলে বাংলাকে অপমান করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের মতামত শুনে সেই সব অভিযোগ সম্পর্কে জেলাশাসক-পুলিস সুপারদের কাছে জানতে চান ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। বৈঠকে তিনি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও মালদহের জেলাশাসক, মালদহের এসপি, ডায়মন্ডহারবারের পুলিস সুপারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সুদীপ জৈন কোচবিহারের জেলাশাসককে বলেন, সেখানে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে কেন? আরও সতর্ক হন। মালদহের জেলাশাসককে বলেন, গণনাকেন্দ্র পরিবর্তন করার সময় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন?
ডায়মন্ডহারবারের পুলিস সুপারের কাছে রায়চকের ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট চান তিনি। জানতে চান, কী হয়েছিল সেখানে? কোনও অফিসার কাজ করতে বাধা দিলে আমাদের কাছে নাম পাঠান। না হলে বুঝব আপনিও জড়িত। আমরা তাঁদের সরিয়ে দেব। কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মাকে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার প্রসঙ্গে আরও উদ্যোগী হতে বলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ ফ্লেক্স থাকায় কলকাতার দুই নির্বাচনী আধিকারিকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সব ফ্লেক্স খুলে ফেলা উচিত ছিল। সাতদিন হয়ে গেল, এখনও থাকবে কেন?
বৈঠকে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। ভোটে যারা গোলমাল পাকায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক-পুলিস সুপাররা যে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছে কমিশন। যে সব জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে, সেখানকার জেলাশাসক-পুলিস সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।