বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জোড়াফুল শিবিরের এই মেগাস্টার ক্যাম্পেনারকে দিয়ে সভা করাতে একদিকে যেমন রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে অসংখ্য আর্জি জমা পড়ছে কালীঘাটে, তেমনই আবার সর্বভারতীয় জোট রাজনীতির অন্যতম মুখ মমতার কাছে প্রচারসভায় অংশ নেওয়ার আবেদন এসেছে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য, ঝাড়খণ্ড, বিহার, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারত থেকেও। রোড শো এবং পদযাত্রা করার আবেদনও জানিয়েছেন অনেকে। তৃণমূল সুপ্রিমোর নিজের কথায়— সাতদফায় ভোট ঘোষণায় যে বা যারা ভেবেছিল, আমাকে আটকে রাখা যাবে, তারা ভুল ভাবছে। বরং এটা তাদের কাছে ব্যুমেরাং হবে। মমতা বলেন, হেসেখেলে নির্বাচনটা করব। ধাপে ধাপে নির্বাচন হওয়ায়, রাজ্যের সব ক’টা আসন ছুঁতে পারব। দু’মাস সময় পাব। খাটনি কম হবে, চাপটা কম থাকবে। এর মাঝে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারত, ঝাড়খণ্ড এবং আরও কয়েকটা জায়গায় প্রচারে যেতে পারব।
এবারে লোকসভা নির্বাচনে চমকে ভরা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর এখন পুরোমাত্রায় ভোটযুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে ‘টিম মমতা’। গত সাত বছরে বাংলার উন্নয়নে মা-মাটি-মানুষের সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে ডিজিটাল মোড়কে পুরে দলের সাইবার সেল ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতার ছবি এবং তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন সম্বলিত নানা ‘টিজার’ দেখা যাচ্ছে। তৈরি হয়েছে ১০ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং অসংখ্য ফেসবুক পেজ। একইভাবে তালিকা ঘোষিত হওয়ার পরই তৃণমূল প্রার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। মমতার নির্দেশে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার চালাচ্ছেন মন্ত্রিসভায় তাঁর সহকর্মী ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, মলয় ঘটক এবং তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে, বাংলার সব বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হোক, গেরুয়া শিবিরের এই দাবিকে ‘বাংলার অপমান’ হিসেবে চিহ্নিত করে শনিবারও কলকাতায় ধর্না চালিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মহিলা তৃণমূল কর্মীরা। এই মন্ত্রীরা ছাড়াও, প্রচারে দলের আর কারা কারা যাবেন, সেই তালিকাও তৈরি করে রেখেছেন মমতা। সবমিলিয়ে প্রচারের এই প্রথম পর্বে জোড়াফুল শিবির অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে মূল প্রতিপক্ষ পদ্মফুল শিবির সহ অন্যদের তুলনায়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটে দলের নির্বাচনী ইস্তাহার আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে। সরকারি কাজের শত ব্যস্ততার মধ্যেও সেই ইস্তাহার খুঁটিয়ে দেখে তা চূড়ান্ত আকার দিচ্ছেন স্বয়ং মমতাই। সূত্রের খবর, ইস্তাহারে সর্বভারতীয় জোট রাজনীতির প্রেক্ষিতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশের এই বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী লোকসভা ভোট এবং তাতে তৃণমূলকে সমর্থন করার যুক্তিও সহজ-সরলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর সামনে।