পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নাগরিক সমাজের পাশাপাশি ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উচ্ছিষ্টদের দিয়ে দল গড়ছে বিজেপি। রাজ্যে উন্নয়নের ধারা চলছে। শান্তি রয়েছে। কিন্তু ছলচাতুরি করছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ওঠা প্রশ্নের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে তথ্য দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি। অতি স্পর্শকাতর বুথের দাবি অন্যায্য। বাংলাকে অপমান করা হচ্ছে। অতি স্পর্শকাতর বুথ কী? বাংলার মানুষ ভোটে এর জবাব দেবে। পার্থবাবু ছাড়াও এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মন্ত্রী তাপস রায়। তাঁরাও বিজেপি’র দাবিকে উড়িয়ে দেন।
অন্যদিকে, সব বুথকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করার দাবি জানায় বিজেপি। বিজেপি’র নেতা মুকুল রায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। তারা বলে, আমরা নতুন কিছু বলব না। আগেই তথ্য দিয়ে বলেছি। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছিলেন, আমরা সেটাই বলেছি। পঞ্চায়েত ভোটের কাগজ সব তুলে দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্য সব সীমা পার করে গিয়েছে। বাংলার পুলিসের উপর বাংলার মানুষেরই বিশ্বাস নেই। কমিশন নিজের দায়িত্বে ভোট করুক। পুলিসের উপরে যেন দায়িত্ব দেওয়া না হয়। সব বুথ অতি স্পর্শকাতর করা হোক বলে দাবি জানান বিজেপি নেতারা। বিজেপি’র প্রতিনিধি দলে মুকুল রায় ছাড়াও জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রভাকর তেওয়ারি, শিশির বাজোরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলও ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে। প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এ রাজ্যের পরিস্থিতি কী, সেটা বলা হয়েছে। একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, মানুষকে হাতকড়া পরানো হচ্ছে। রাজ্যের পুলিস, গুন্ডা দিয়ে যেন ভোট না করা হয়। রাজ্যের ৭৯ হাজার বুথকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। সিপিএম নেতা রবীন দেব ডেপুটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ার যেন ভোটে না থাকে। শাসকদলের নেতারা আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। অবাধ নির্বাচন করতে হলে এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। শুধু সীমান্ত এলাকায় রাখলে হবে না। অবশ্য সিপিএম সব বুথকে অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণার দাবি করেনি। তবে বৈঠকের পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠুভাবে ভোট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য কমিশনের নির্দেশিকা সকলকে মানতে হবে।