বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তবে বাম বিধায়কদের শিবির বদলানোর ঘটনা নিঃসন্দেহে বামফ্রন্টের কাছে বড় ধাক্কা। ২০১৬ সালে তৃণমূল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মালদহের নির্দল বিধায়ক নীহার ঘোষ শাসকদলে যোগ দেন। সিপিএম এবং কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বিধায়ক হলেও খাতায়-কলমে নির্দল হওয়ায় নীহারবাবুর বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইনে নালিশ জানাতে পারেনি বিরোধীরা। জেতার পর তিনি বাম পরিষদীয় দলের ঘরেই বসতেন। তাই তিনি শিবির বদলানোয় সুজনবাবুরাই মুষড়ে পড়েন বেশি। এরপর ধীরেন লেট আচমকাই যোগ দেন তৃণমূলে। আরএসপি দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে বহিষ্কার করে ধীরেনবাবুকে। একইভাবে গত কয়েক মাসে সিপিএমের আরও দুই বিধায়ক মুর্শিদাবাদের মহম্মদ রেজ্জাক ও কানাই মণ্ডল যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। দীর্ঘদিন ধরে মালদহ জেলায় মার্কসবাদী দল করে আসা খগেন মুর্মু আবার সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অস্বস্তিতে পড়া আলিমুদ্দিনের কর্তারা এই তিন বিধায়ককেই সঙ্গে সঙ্গে দল থেকে ছেঁটে ফেলার নোটিস দিয়েছেন। ফলে তাঁরা দলত্যাগবিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়বেন না। পরিষদীয় দলের তরফে সুজনবাবুও কোনও নালিশ জানাতে পারেননি তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে নীহারবাবুর পর সরাসরি সিপিএম থেকে জোড়াফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন মালদহের মহিলা বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। তাঁর ব্যাপারে অবশ্য সুজনবাবুরা লিখিত নালিশ জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। একাধিক বৈঠক হলেও সেই শুনানি এখনও শেষ হয়নি।
মান্নান অবশ্য তাঁর দলের দলবদলু বিধায়কের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে নালিশ করেছেন। কয়েকজনের ক্ষেত্রে হাইকোর্টে মামলাও রুজু করেছেন। তদন্ত চলায় অধ্যক্ষের চূড়ান্ত ফয়সালা জনসমক্ষে আসেনি। বিরোধী দুই শিবির অবশ্য এতে বেশ হতাশ। তবে দল বদল করা অধিকাংশ বিধায়ক যে বহিষ্কারের ফলে পদ খোয়ানোর শঙ্কা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তা মেনে নিয়েছেন সুজনবাবু। কংগ্রেস অবশ্য কোন দলবদলু বিধায়ককে বহিষ্কার করেনি। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এর ফলে আপাতত বিরোধী দলনেতার চেয়ারও বেঁচে গিয়েছে মান্নানের। যদিও এবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার কারণে তাঁদের মধ্যে তিনজন কানাইলাল আগরওয়াল, অপূর্ব সরকার ও আবু তাহের বাধ্য হয়েছেন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে। এর আগে রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য পদত্যাগ করেছিলেন মানস ভুঁইয়া।