বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের সময় রেশন ব্যবস্থা ঠিকমতো চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের সাত কোটিরও বেশি রেশন গ্রাহক দুই টাকা কেজি দরে চাল ও গম পান। চাল ও গমের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কিন্তু সরবরাহে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে যাঁরা ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন তাঁদের কার্ড দিতে কোনও বাধা নেই। এখন রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্র চালু করার জন্য তৎপরতা চলছে। নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়ার জেরে খাদ্য সরবরাহে যাতে কোনও জটিলতা না হয়, সেদিকে দপ্তরের আধিকারিকরা বিশেষ নজর রাখছেন। অধিকাংশ রেশন ডিলারের কাছে যন্ত্র পৌঁছে গিয়েছে। তবে গ্রাহকদের নথিভুক্তকরণের কাজ এখনও সেভাবে এগয়নি। খাদ্য দপ্তর ঠিক করেছে, আপাতত গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণের উপর বেশি জোর দেওয়া হবে না। তবে ভোট পর্ব শেষ হলে আধার নম্বর দিয়ে নাম নথিভুক্তকরণে তৎপরতা বাড়ানো হতে পারে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক ভোট ঘোষণার কয়েকদিন আগে রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে রেশন দোকানে কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে কী দামে কতটা পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, তা রেশন দোকানের বোর্ডে টাঙিয়ে রাখতে হবে। সরবরাহ করা খাদ্যসামগ্রীর পরিমাণ ও গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ থাকলে, তা কোথায় জানাতে হবে, সেটাও উল্লেখ থাকতে হবে বোর্ডে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, গ্রাহকদের কাছে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য কৌশলে ভোটের ঠিক আগে এটা করা হয়েছে। রাজ্য খাদ্য দপ্তর নির্দেশ দিলে তবেই রেশন ডিলাররা এব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে খাদ্য সামগ্রী মজুত থাকার পরিমাণ, দোকান খোলা রাখার সময়সীমা প্রভৃতি জানানোর কথাও আছে। এই সব তথ্যের অনেকগুলি আগে থেকে জানানো হয় বলে ডিলারদের দাবি।