বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিমান ও হেলিকপ্টারের উড়ানের আগে আবহাওয়া দপ্তরের কাছ থেকে পূর্বাভাস নেওয়া হয়। কলকাতা বিমানবন্দরে আবহওয়া দপ্তরের আলাদা উইং আছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিমান ও হেলিকপ্টার ছাড়ার আগে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাড়াও বায়ুর গতিবেগের ধরন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। হেলিকপ্টারে কোনও ভিআইপি থাকলে পুলিসের ডিজি (সিকিউরিটি) অফিসকে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা হয়। কালবৈশাখী আসতে চলেছে, এমন কোনও পূর্বাভাস থাকলে কোনও নেতাকে নিয়ে হেলিকপ্টারের ওড়া বাতিল হয়ে যাবে। কালবৈশাখীর নিশ্চিত পূর্বাভাস খুব বেশি আগে আবহাওয়া দপ্তর জারি করতে পারে না। বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হতে থাকলে রেডার ও স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস জারি করে। সর্বাধিক দু’-তিন ঘণ্টা আগে মেঘের চরিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দপ্তর জানায়, কোন কোন জেলায় কালবৈশাখী বা ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কালবৈশাখী তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, জানাতে পারলেও নিশ্চিত কোনও পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় না।
এপ্রিল ও মে মাসে গড়ে চার-পাঁচটি করে কালবৈশাখী হয়ে থাকে। কখনও কখনও তার থেকেও বেশি কালবৈশাখী হয়। মার্চ মাসে তুলনামূলকভাবে কম হয়। গড়ে দুটি কালবৈশাখী হয়ে থাকে। কিন্তু এবার মার্চ মাসেও ঘন ঘন কালবৈশাখী হচ্ছে। আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার কালবৈশাখীর অনুকূল পরিস্থিতি আবহাওয়ামণ্ডলে আছে।
কালবৈশাখীর উৎপত্তি স্থল একাধিক হতে পারে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের উপর তৈরি হওয়া কালবৈশাখীগুলি বেশি শক্তিশালী হয়। তখন ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে বজ্রমেঘ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি হয়ে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত ধেয়ে আসে। রাঁচির দিকে তৈরি হওয়া বজ্রমেঘের জন্য গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখীর প্রভাব কম হয়। অনেক সময় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরও কালবৈশাখীর বজ্রমেঘ তৈরি হয়। কালবৈশাখী হওয়ার প্রধান শর্তই হল বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকতে হবে। তার সঙ্গে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত থাকতে হবে। এটি ঝাড়খণ্ডের উপর থাকলে কালবৈশাখী শক্তিশালী হয়। জোরালো কালবৈশাখীতে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার ছাড়াতে পারে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন রাজ্যগুলি নয়, উত্তর ভারতে এই সময় প্রবল ঝড় ওঠে। উত্তর ভারতে ওই ঝড় ‘আঁধি’ বলে পরিচিত।