বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত এক সপ্তাহে কলকাতার তিনটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিস। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। কিন্তু ওই টাকা কোথা থেকে এল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন জাগে অফিসারদের। বিশেষত ভোটের মুখে এই টাকা উদ্ধার হওয়ায় অনুমান করা হয়, নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের জন্যই কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতার কাছে তা পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু টাকার উৎস তাঁরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। যেহেতু এই সংক্রান্ত বিষয়ে ইডি অত্যন্ত দক্ষ, তাই তাদের বিষয়টি জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা খোঁজখবর করতে গিয়ে জানতে পেরেছে, এই টাকার সঙ্গে কলকাতার কয়েকজন হাওলা ব্যবসায়ী জড়িত। যাঁরা নিউ মার্কেট ও বড়বাজার এলাকায় ব্যবসা করেন। কিছুদিন আগে নিউ মার্কেট এলাকায় ইডির অফিসাররা কয়েকজন হাওলা ব্যবসায়ীর ডেরায় তল্লাশি করার পর জানতে পারেন, এখানে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন চলছে। এর পুরোটাই কর ফাঁকির টাকা। উদ্ধার হওয়া টাকার রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে অফিসাররা জানতে পারেন, কলকাতায় একাধিক কাগুজে কোম্পানি রয়েছে। জিএসটি চালু হওয়ার পর এই ধরনের কোম্পানির সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। এই সব ভুয়ো কোম্পানির কর্ণধাররা অনেকে নিজেরাই হাওলা ব্যবসা চালাচ্ছেন। আবার অনেকের সঙ্গে হাওলা কারবারিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই কাগুজে কোম্পানিগুলি। যে সব ব্যবসায়ীর কালো টাকা রয়েছে, তাঁরা এই হাওলা কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এরপর নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে তা পাচার করছে হাওলার কারবারিরা। এক্ষেত্রে কলকাতাকে সেফ প্যাসেজ হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। হাওলার মাধ্যমে টাকা কলকাতায় এনে তা অন্য কোনও ব্যবসায় বিনিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে বা এই টাকায় বিদেশে থেকে সোনা নিয়ে আসা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া টাকা উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্য ঘুরিয়ে এখানে নিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় হাওলা কারবারিরা। ভোট ছাড়াও অন্য কোনও ব্যবসায় ওই টাকা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন ইডির অফিসাররা।