রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে দলের এক রাজ্য নেতা বলেন, গত তিন বছরে কলকাতা সহ জেলার অসংখ্য থানার ওসি-আইসি’রা নিজেদের সরকারি চাকুরের পরিচয় হারিয়ে ফেলেছেন। স্রেফ তৃণমূলের তামাক খেয়ে টাকা তোলা এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হেনস্তা করাটাই তাঁদের মূল ধ্যান-জ্ঞান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই বিজেপি নেতার দাবি, বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। সেই মতো দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, এবারের লোকসভা ভোটে বাংলার মানুষ যাতে নিজেদের ভোট নিজেরাই দিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমস্ত ধরনের পদক্ষেপ করা হবে। সেই মতো রাজ্যে সাত দফায় ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় এক মাস আগে থেকে ভোটারদের মনে আস্থা জোগাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবার আমাদের জেলা সভাপতিদের কাজ হবে শাসকদলের হয়ে কাজ করা পক্ষপাতদুষ্ট থানার ওসি-আইসি’দের চিহ্নিত করা। যাতে ভোট প্রক্রিয়া থেকে সংশ্লিষ্টদের সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ভোট করানো যায়।
এছাড়াও জেলা সভাপতিদের প্রতিটি বুথের গ্রেডেশন ভিত্তিক তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বুথগুলিকে এ, বি, সি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে। যেসব বুথে বিজেপির ৫০ জনের বেশি কর্মী রয়েছে, সেটাকে এ গ্রেডে রাখা হয়েছে। ৫০ জনের কম কিন্তু ২০ জনের বেশি কর্মী বিশিষ্ট বুথকে বি-গ্রেডে রাখা হয়েছে। আর সি-গ্রেডে রয়েছে এমন সব বুথ যেখানে বিজেপি কর্মীর সংখ্যা ২০ জনেরও কম। এই গ্রেডেশন ভিত্তিক রিপোর্ট দেখে দূর্বল বুথগুলিতে বিজেপি কর্মীদের বিকল্পভাবে লড়াই করার বিশেষ কৌশল জানানো হবে। শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভিত্তিক ভোটের দায়িত্ব বিশেষ একটা টিমকে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তাদের কাছে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুলিস পর্যবেক্ষক, এক্সপেন্ডিচার অবজারভার সহ একাধিক কর্তার মোবাইল নম্বর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়ার সময় কোনও অসঙ্গতি দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পর্যবেক্ষকদের ফোন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।