পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের তুলনায় মদের বিক্রি বাড়ল কি না বা ভোটের সময়ের জন্য এখন থেকে মদ মজুত রাখা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্যই এই নজরদারি বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। গোটা রাজ্যে যত পানশালা ও মদের দোকান আছে, তাদের কাছ থেকে এই তথ্য নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বেলা ১১টার মধ্যে আগের দিন কত পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে, তার হিসেব মদের দোকান ও পানশালাগুলিকে আবগারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে মদের দোকানগুলিকে জমা করতে হচ্ছে। সেখান থেকে ওই হিসেব যাচ্ছে জেলা আবগারি দপ্তরে। তারপর তা রাজ্য আবগারি দপ্তরের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হচ্ছে।
আবগারি দপ্তরের অফিসাররা বলেছেন, ভোটের সময় মদ বিক্রির প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। মদ খাইয়ে ভোট করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও অনেক পুরনো। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা করেছে। সেই কারণে প্রতি বছরই মদ বিক্রির উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হয়। কিন্তু, এবার বিশেষ প্রক্রিয়ায় এই নজরদারি চালানো হচ্ছে। এবার প্রতিদিনের হিসেব নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ২০১৬ সালের ওইদিন কী পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছিল, তার তথ্যও নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ হঠাৎ করে মদের বিক্রি বাড়ছে, না কমছে তা নজরদারি রাখা সম্ভব হচ্ছে।
গোটা রাজ্যের এই হিসেব এক নজরে আনার জন্য একটি সফটওয়্যারও তৈরি করা হয়েছে। তাতে কোনও দোকানে হঠাৎ করে বেশি বিক্রি হলে, তাও সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ কোন দোকানে, কত পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছিল, তার সঙ্গে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ কত পরিমাণ মদ বিক্রি হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চারটি ক্যাটাগরিতে এই হিসেব চাওয়া হচ্ছে। বিয়ার, দেশি মদ, হুইস্কি ও রাম কত পরিমাণ বিক্রি হল, তার হিসেব মদের দোকান ও পানশালাগুলিকে পাঠাতে হচ্ছে। এরপর তা একসঙ্গে করে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের অফিসাররা বলেছেন, নির্বাচনের সময় প্রতিবছরই বিশেষ কিছু নজরদারি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু, মদ বিক্রি নিয়ে এবারই এত তীক্ষ্ণ নজরদারি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাওড়া ও হুগলির কয়েকটি জায়গায় এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা তদন্ত করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, ওই এলাকায় আগে যেখানে একটি পানশালা ছিল, সেখানে এখন নতুন করে তিনটি পানশালা হয়েছে। ফলে বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের অফিসাররা বলেছেন, মূলত আদিবাসী এলাকায় ও উত্তরবঙ্গে এই নজরদারি চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।