পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হোক, এই দাবি নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবং রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল গেরুয়া শিবির। তাতে সায় দিয়েছিল এ রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস শিবির। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেই কেল্লা ফতে, এহেন ধারণাও পোষণ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ সাহেব বলেন, সেন্ট্রাল ফোর্স বুথ পাহারা দেবে, সেটাই তো ওদের কাজ। মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আসুক। এমনিতেই এ রাজ্যে মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত। আর সে কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখেই মানুষ বারবার তৃণমূলকে আর্শীবাদ করছেন। অপরদিকে, সমস্ত বুথ স্পর্শকাতর ঘোষণা করার বিজেপির দাবি, প্রকারান্তরে বাংলাকে অপমান করার শামিল বলেই মনে করছে জোড়াফুল শিবির। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধর্না শুরু করেছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আজ, শনিবারও চলবে সেই কর্মসূচি।
এদিকে, মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে যোগদান ইস্তক রাজ্য বিজেপির ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন ফিরহাদ। কটাক্ষের সুরও ছিল তাঁর গলায়। ফিরহাদ বলেন, দিলীপদাকে দেখলে দুঃখ হয়। রাজ্য বিজেপির অফিসটা শুধু সাইনবোর্ড হয়ে রয়ে গেল। সবই তো দিল্লি থেকে মুকুল রায় আর কৈলাস বিজয়বর্গীয় করছেন। কে কবে কখন জয়েন করবেন, কিছুই জানে না বঙ্গ বিজেপি। ফিরহাদ বলেন, তাই বাধ্য হয়েই এখানে বসে নানা রকম কথা বলে বিজেপিতে প্রাসঙ্গিক হতে চাইছেন দিলীপদা। তাঁর প্রতি সমবেদনা রইল।
কেন্দ্রের দেওয়া অর্থ নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে এদিন একগুচ্ছ অভিযোগও এদিন তুলেছিলেন দিলীপবাবু। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, আগেও বলেছি, এখনও বলছি, কেন্দ্রের টাকা কোনও দয়া-দাক্ষিণ্য নয়। রাজ্য থেকে যে অর্থ নিয়ে যাওয়া হয়, তারই একটা অংশ প্রকল্প অনুযায়ী আগে প্ল্যানিং কমিশন রাজ্যকে দিত। যবে থেকে নীতি আয়োগ তৈরি হয়েছে, তবে থেকেই শুরু হয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা ও রাজ্যের প্রতি বঞ্চনা। বঞ্চনার সেই উদাহরণের তালিকায় জেএনইউআরএম উঠিয়ে দেওয়া, মা, বাটানগর এবং চন্দননগর ফ্লাইওভার, সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এবং নানা জলপ্রকল্প তৈরির কাজে দিল্লি থেকে একটি পয়সাও না আসার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। এরই সঙ্গে উপহাসের সুরে তাঁর প্রশ্ন, দিলীপ ঘোষ কে? বিজেপির একজন নেতা মাত্র। তিনি না কেন্দ্র, না রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। তাঁর অস্তিত্ব কোথায়? একজন ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ রাজ্য সভাপতি!