পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর কয়েকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, একদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য উত্তরদিক কিছুটা শীতল ও শুষ্ক বায়ু আসবে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগর থেকে আসবে উষ্ণ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস। বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে দুই শ্রেণীর বিপরীতধর্মী বায়ুর মিলনে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হবে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পর্যায়ক্রমে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, কলকাতা, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর বজ্রমেঘের সঞ্চার হয় মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বজ্রমেঘের প্রভাবে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে তার মাত্রা খুব বেশি ছিল না। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো হাওয়া ছিল। তবে কালবৈশাখীর ঝড় বলতে যা বোঝায়, তা শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া অফিসে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া পরিমাপ করা হয়। কিন্তু এটি এক মিনিটের কম স্থায়ী হওয়ার কারণে কালবৈশাখীর তকমা পায়নি।
সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতায় ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার বা তার বেশি গতিবেগে কালবৈশাখীর ঝড় হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৩ সালে ১১৬ কিলোমিটার গতিবেগে কালবৈশাখী বয়ে গিয়েছিল কলকাতার উপর দিয়ে। ২০১৬ ও ২০১৮ সালেও প্রায় একশো কিলোমিটার গতিবেগে কালবৈশাখী ধেয়ে এসেছিল শহরে। বজ্রমেঘ কতটা শক্তিশালী হয়েছে, তার উপর কালবৈশাখীর মাত্রা নির্ভর করে। দু’দিন ধরে তেমন শক্তিশালী বজ্রমেঘ তৈরি হয়নি। তবে অনুকূল পরিস্থিতি থাকলে কখন শক্তিশালী বজ্রমেঘ তৈরি হবে, তা অনেক আগে থেকে নিশ্চিত করে বলা যায় না। কয়েক ঘণ্টা আগে অনেকটা নির্দিষ্ট যে পূর্বাভাস জারি হয় তাতেও ঝড়ের গতিবেগের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। এই কারণে বজ্রমেঘ তৈরি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হলেই আবহাওয়া দপ্তর সতর্কবার্তা জারি করে দেয়।
আজ, শনিবার আবহাওয়ামণ্ডলে যা পরিস্থিতি থাকবে, তাতে ঝড়-বৃষ্টি নাও হতে পারে। কিন্তু বিদর্ভের উপর থাকা একটি ঘূর্ণাবর্ত রবিবার নাগাদ ওড়িশার উপর চলে আসার সম্ভাবনা আছে। এর প্রভাবে ফের ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সাধারণত মে মাস পর্যন্ত কালবৈশাখীর সম্ভাবনা থাকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। চড়া গরমের মরশুমে সাময়িক স্বস্তি দেয় কালবৈশাখী।