পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাড়ি তৈরির জন্য ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট ওই পঞ্চায়েতে বাড়ির নকশা বা প্ল্যান জমা করেছিলেন শুভেন্দু দত্ত। নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে পঞ্চায়েত এই প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়। যদি না নেয়, তাহলে ধরে নেওয়া হয়, অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি তা সত্ত্বেও দীর্ঘ অপেক্ষার পর, পরের বছরের মার্চ মাসে বাড়ির কাজ শুরু করেন। এই তথ্য পেশ করে মামলাকারীর আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য ও ভরতচন্দ্র সিমাই আদালতকে জানান, ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান শ্রীমতি রমা চক্রবর্তীর নামে লেখা একটি চিঠি শুভেন্দু পান। সেখানে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। আর ২৭ মার্চ আরও একটি চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে তিন লক্ষ টাকা না দিলে কাজ করা যাবে না। এমনকী হাইকোর্ট, সেখানকার আইনজীবী বা বিচারপতিদের নির্দেশেও কিছু হবে না। শুভেন্দু ও তাঁর আইনজীবীকে সেই চিঠিতে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
এমন অভিযোগ সূত্রে আদালত ওই মহিলা প্রধানকে তলব করেছিল। ২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে এসে দাবি করেন, ওইসব চিঠি তাঁর লেখা নয়। সেই সূত্রে সিআইডিকে চিঠির হাতের লেখা তথা স্বাক্ষর পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে বলে আদালত। পরবর্তীকালে হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের শাসকদলই ওই পঞ্চায়েতে ফের ক্ষমতায় আসে। কিন্তু, প্রধান বদল হয়। এই অবস্থায় এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া আরও দু’টি চিঠি আদালতে পেশ করা হয়। যার একটি বর্তমান পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিলন জানা পাঠিয়েছেন। একথা উল্লেখ করে ওই আইনজীবীরা দেখান, ওই উপপ্রধান কীভাবে মামলাকারীকে হুমকি এবং বিচারবিভাগ সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন। এই অবস্থায় সরকার পক্ষ সিআইডি-র রিপোর্ট পেশ করতে না পারায় রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, সিআইডি’র এই ব্যর্থতার কারণ রাজনৈতিক নয় তো! এই প্রেক্ষাপটে বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধান ছাড়াও পূর্বতন প্রধানের স্বামী ও বর্তমান উপপ্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে পরবর্তী শুনানির দিন এজলাসে হাজির থাকতে বলেছে আদালত।