বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কৃষি দপ্তরে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। রবিবার নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ চালানো হবে কি না, সেব্যাপারে দোটানায় পড়েছিল দপ্তর। কৃষি দপ্তরের ডিরেক্টরেট থেকে সচিবালয়ের কাছে এব্যাপারে কী করণীয়, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর নির্দেশিকা জারি করায় কৃষি দপ্তর নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে চাইছে। কারণ নির্বাচন ঘোষণার আগে সব চাকরিপ্রাথীদের নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ হয়ে গিয়েছে। গত ৫ মার্চ থেকে দপ্তর নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজও শুরু করে দিয়েছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচন ঘোষণার আগে ১১৭ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। মোট ৬৯১ জন চাকরিপ্রার্থীর নথিপত্র ইতিমধ্যে যাচাই করা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কোন অফিসে চাকরি দেওয়া হবে, তার জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
রাজ্য সরকারের দপ্তরে এখন দুটি বড় ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন এলডিএ নিয়োগের জন্য চাকরি প্রাপকদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর তাঁদের নথিপত্র যাচাই ও পুলিস ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এলডিএ পদে এক হাজারের কিছু বেশি নিয়োগ হচ্ছে। অনেক বছর পর কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে নিয়োগ হচ্ছে কৃষি দপ্তরে। গ্রামে চাষিদের কৃষি সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন এই কর্মীরা। এতে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৫৮। কিন্তু ৩ হাজার ৫৬৪টি পদ শূন্য রয়েছে। ৮১৮ জনকে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রায় আট লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিল। এসএসসি উঠে যাওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার দায়িত্ব পায় পিএসসি। পিএসসি গত নভেম্বর মাসে মোট ৮০৬ জনকে নিয়োগ করার তালিকা পাঠায়। এর মধ্যে ৬৯১ জন চাকরির নথিপত্র ও পুলিস ভেরিফিকেশনের ফর্ম জমা দেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তা বন্ধ করতে হবে না। এই বিষয়টি কৃষি দপ্তরকেও তাঁরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন।