পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আগে এ বাংলার তরফে পেট্রাপোলে এবং বাংলাদেশের তরফে বেনাপোল সীমান্তে দু’টি পৃথক একুশের মঞ্চ হতো। পৃথক অনুষ্ঠানও হতো। দুই বাংলার দূরত্ব ঘোচানোর জন্য ২০১৭ সাল থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের তরফে একটিই বড় মঞ্চ করা হয়। এবারও তাই হয়েছিল। কিন্তু, এবার আঁটসাঁট নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল দুই দেশের সীমান্ত এবং অনুষ্ঠান চত্বর।
নো ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের মাঝ বরাবর বাঁশের ব্যারিকেড করা হয় প্রতিবার। তবে, সেই ব্যারিকেডের ফাঁক দিয়েই অনেকে হাতে হাত মেলাতেন। এবার ব্যারিকেড চওড়া করা হয়েছিল। তাই হাত মেলানোর সুযোগ হয়নি। আগে দুই দেশের নাগরিকেরা সাধারণভাবে হেঁটে এসে নিজেদের দেশের দিকে চেয়ারে বসতেন। কিন্তু, এবার অনুষ্ঠানস্থলের সামনে লাগানো হয়েছিল মেটাল ডিটেকটরের গেট। সেই গেট দিয়ে প্রবেশ করলেও দ্বিতীয়বার হ্যান্ড মেটাল ডিটেকটর দিয়ে সকলকে পরীক্ষা করা হয়। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে প্রচুর বিএসএফ জওয়ানদের পাশাপাশি এ রাজ্যের পুলিসও ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিবিজি) এবং বাংলাদেশের পুলিসও ছিল পর্যাপ্ত। এক কথায়, কোনও দেশের নাগরিককেই অন্য দেশের দিকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।
দুই দেশের জিরো পয়েন্টে রয়েছে ভাষা দিবসের স্থায়ী শহিদবেদি। দুই দেশের প্রতিনিধিরা প্রথমে সেখানে মাল্যদান করেন। নিরাপত্তার জন্য, প্রতিনিধিদের তালিকা জমা দিতে হয়েছিল। অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক তথা বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য, দুই বাংলা মৈত্রী সমিতির পক্ষে মনোজ রায়, বাংলাদেশের মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, যশোরের সাংসদ শেখ আফিরুদ্দিনসহ অনেকেই। শুরুতেই মঞ্চে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পর পর দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। গীতাপাঠ ও কোরান পাঠের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তাও দেওয়া হয়।
মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে যশোরের সাংসদ শেখ আফিরুদ্দিন বলেন, আমরা দুই বাংলার একই ভাষার মানুষ। মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের যা সাহায্য করেছে, সেই ঋণ আমরা কোনওদিন ভুলব না। এদিন নো ম্যানস ল্যান্ডেই রক্ত বিনিময়েরও আয়োজন করা হয়েছিল। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এ পার বাংলার মানুষের দান করা ২২০ প্যাকেট বাংলাদেশ নিয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকের ১৯৮ প্যাকেট রক্ত আমরা নিয়েছি। এটা একটা অভিনব দৃষ্টান্ত।