পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলকাতায় থাকা কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলওয়ামার ঘটনার জেরে এই ধরনের অভিযোগ উঠছিল। সম্প্রতি জনৈক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীরীদের নিশানা করে পোস্ট করেন। তারে সেই পোস্ট সমর্থন করে কাশ্মীরীদের বয়কট করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করে বিতর্কের মুখে পড়েন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। তথাগতবাবুর মতে, কাশ্মীরীদের কাছ থেকে পণ্য কেনা বা কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া বাকি ভারতীয়দের বয়কট করা উচিত। কাশ্মীর ও কাশ্মীরীদের বয়কট করার এই আবেদন বস্তুত সামাজিক অস্থিরতাকেই ইন্ধন দিচ্ছে বলে রাজনৈতিক দলগুলি তাঁর সমালোচনায় সরব হয়। রাজ্যপালের পদে বসে কীভাবে একজন এভাবে জাতিগত বিদ্বেষের প্ররোচনা দেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিন মমতা অবশ্য সরাসরি কোনও নাম করেননি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলির একাংশ কিছু গোষ্ঠী এবং সাংবিধানিক পদ অলঙ্কৃত করে থাকা ব্যক্তি নানা গুজব ও ঘৃণা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। এমনকী সাংবাদিকদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। যে রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় এসব হচ্ছে, তার নাম মুখে আনতে লজ্জাবোধ করেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতার বাসিন্দা কাশ্মীরের মানুষের প্রতি তাঁর আশ্বাস, পুলিস-প্রশাসন সজাগ আছে। কোনও ভয় যেন তাঁরা না পান। শহরে একটি কাশ্মীরী পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় পুলিস ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান মমতা।
উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, কেউ যেন কোনও গুজবে কান না দেয়। একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল এই কাজ করছে। জঙ্গিহত্যার নিন্দার অছিলায় একদল দুষ্কৃতী জনমানসে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াতে ব্যস্ত। তাই রাজ্যবাসীকে সেকথা স্মরণ করিয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জঙ্গি হানায় নিহত বাংলার দুই সিআরপিএফ জওয়ানের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পরিবারের কেউ চাকরি করতে চাইলে রাজ্য সরকার তার ব্যবস্থা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা।