বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যে বিভিন্ন গ্রাম, শহর ও গঞ্জ এলাকার পড়ুয়া, বিশেষ করে ছাত্রীদের আরও বেশি করে স্কুলমুখী করতে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রকল্প নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হয়, রাজ্যে সরকার পরিচালিত, পোষিত এবং স্বীকৃত মাদ্রাসার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের চিহ্নিত করে বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হবে। এতে স্কুলে আসতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়ন বৃদ্ধি এবং মহিলা সশক্তিকরণেও তা কাজে আসবে। মুখ্যমন্ত্রীর রচিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব সঞ্জয় থাড়ের নেতৃত্বে পাঁচশোর বেশি সরকারি আধিকারিক। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের ছাতনাশোল গ্রামে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পরিষেবা প্রকল্প সবুজ সাথীর সূচনা করেন মমতা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই থেকে যাত্রা শুরু করে এখনও পর্যন্ত চারটি পর্যায়ে রাজ্যের সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি পড়ুয়ার কাছে পৌঁছে গিয়েছে ভরসার প্রকল্প সবুজ সাথী। চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে সবুজ সাথীর পঞ্চম পর্যায়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিযোগিতায় ‘ই-গভর্নমেন্ট’ ক্যাটিগরিতে ১১৪০টি প্রকল্পের মধ্যে যে পাঁচটি ‘চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্ট’ হিসেবে ফাইনাল পর্বে গিয়েছে, সেখানে বাংলার সবুজ সাথীর সঙ্গে লড়াইতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও রাশিয়ার একটি করে এবং সৌদি আরবের দু’টি প্রকল্প। তবে সবুজ সাথীকে বাছাই করে ফাইনালে তোলার আগে গোটা বিশ্ব থেকে বাছাই করা বিশেষজ্ঞ ‘জুরি’ টিম যে ভাষায় প্রশস্তি করেছে, তা অভূতপূর্ব। সবুজ সাথী সম্পর্কে জুরি টিম লিখেছে— ১) ধর্ম, বর্ণ আর ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার শিক্ষার সমান সুযোগ করেছে, ২) খোঁজখবর রাখে, এমন একটা সমাজ তৈরি হয়েছে, ৩) নারীর সঙ্গেই সামাজিক সশক্তিকরণও হয়েছে, ৪) দূর হচ্ছে লিঙ্গ বৈষম্য, ৫) ভালো ই-গভর্ন্যান্সের উদারহণ, ৬) এটা গরিব মানুষের তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ৭) জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করেছে এই প্রকল্প।