কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মাধ্যমিকের প্রশ্ন পাচারের ঘটনায় সিআইডি ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। যা ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, কীভাবে বাইরে থেকে উত্তর পরীক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছে। তাদের জেরা করেই অফিসাররা জানতে পারছেন, শুধু একটি বা দু’টি নয়, সমস্ত জেলাতেই চক্র গড়ে তুলে এই কাজ চালানো হচ্ছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই গোটা প্রক্রিয়াটি চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে ম্যানেজ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশকে। তাঁরা পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন বা তাঁদের মোবাইল ব্যবহার করে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে বাইরে। এমনকী উত্তরও এসেছে ওই মোবাইলেই। সেই কারণেই তদন্তে নেমে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের ভূমিকা কী, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন সিআইডির তদন্তকারী অফিসাররা। কোন কোন জেলা থেকে প্রশ্ন পাচার হয়েছে, তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। স্কুলগুলিকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তর থেকেও মোবাইল সংক্রান্ত নির্দেশিকা কী ছিল, তাও সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের ব্যাখ্যা, সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেই যে প্রশ্ন বেরিয়েছে এমনটা নয়। বাছাই করা কিছু হল থেকেই মোবাইলে প্রশ্নের ছবি তুলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্ন বেরোয়নি সেখানকার পরীক্ষার্থীদের কাছেও উত্তর গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই তা গিয়েছে।
আর সেই কারণেই অফিসারদের জানা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, প্রতিটি জেলায় এই ধরনের কতগুলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল, এক একটি গ্রুপে কতজন মেম্বার ছিল, তার অ্যাডমিন কারা। তবে এইসব তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। এক একটি গ্রুপে যে ৪০ থেকে ৫০ জন মেম্বার রয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। তবে যেভাবে একাধিক গ্রুপের খবর আসছে তাতে অফিসাররা আশাবাদী, বিভিন্ন জেলায় যেসব মাথা এই কাজ করছে, তাদের ধরে ফেলা যাবে।