পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী ইডি’র তরফে এদিন একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়। জানানো হয়, আগের হলফনামা অনুযায়ী ৩৫৯.৭৫ কোটি টাকার অস্থাবর এবং ৫৬৫.৯৯ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তারপর সংস্থাটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৫৫.১৯ কোটি টাকা এবং ৩৩০.১৪ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকী সংস্থাটির বিপণি মেসার্স অদ্রিজা গোল্ড কর্পোরেশন থেকে নগদ ১২ লক্ষ ৭০ হাজার ১৪৪ টাকা এবং ৪১ কোটি টাকার গয়না মিলেছে।
এই অবস্থায় শুনানিতে প্রশ্ন ওঠে, এইসব সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ কোথা থেকে প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা ফেরত পাবেন? কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইনজীবী কৌশিক চন্দ আদালতকে জানান, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী যেহেতু ইডি এইসব পদক্ষেপ করছে, তাই এই আইন অনুযায়ী গঠিত বিশেষ আদালতে বিষয়টির বিচার হবে। যদি দেখা যায়, সেই ব্যবসায় ওই আইন লঙ্ঘিত হয়েছে, তাহলে সংস্থাটির সেইসব সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। এরপর সেই বিশেষ আদালতই ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা মেটানোর নির্দেশ দিতে পারে। এই অবস্থায় প্রশ্ন ওঠে, বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারীর আবেদনের ফয়সালা করে নির্দেশ দেওয়া সেই বিশেষ আদালতের পক্ষে সম্ভব কি না। আর সেই সূত্রেই সওয়ালে বলা হয়, হাইকোর্ট সেক্ষেত্রে সেই অর্থ ওয়ান ম্যান কমিটিকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিতে পারে কি না, তা বিবেচনা করা হোক।
অন্যদিকে, অ্যালকেমিস্ট সংস্থাটিকে বেঞ্চ এদিন সাফ জানায়, ৪৯৭ কোটি টাকা তারা ওয়ান ম্যান কমিটিকে দেবে জানিয়েছিল। তা কবে দেওয়া হবে? দ্বিতীয়ত, তাদের কিনে রাখা বিভিন্ন সংস্থার যেসব শেয়ার এখন সেবি’র হেফাজতে রয়েছে, তা বিক্রির অনুমতি তাদের দিতে হবে। যাতে বিক্রিলব্ধ অর্থ সেবি কমিটির হাতে তুলে দিতে পারে। উল্লেখ্য, প্রতিশ্রুতি দিয়েও অ্যালকেমিস্ট কমিটিকে বিনিয়োয়কারীদের দেওয়ার জন্য নতুন করে টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। জবাবে সংস্থাটির তরফে বলা হয়, সারা দেশে সংস্থার এক লক্ষেরও বেশি বিনিয়োগকারী ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে টাকা পাওয়ার জন্য মামলা করেছেন। যা লড়তে গিয়ে সংস্থার আইনজীবীরা নিয়মিতভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। বস্তুত, কমিটির মাধ্যমে ৫৪ লক্ষ টাকা মেটানো হলেও ক্রেতা সুরক্ষা আদালত মারফত তারা প্রায় ১.৫ কোটি টাকা মিটিয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানানো হয়। তাদের অভিযোগ, আয়কর দপ্তরের কাছে বকেয়া না থাকতেও তারা অ্যালকেমিস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে ভবিষ্যতের পাওনা আদায় নিশ্চিত করতে।
এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের তরফে আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী ও অরিন্দম দাশ বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, তাঁদেরই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই সময়সীমা ২০১৮ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় কি না, তা আদালত বিবেচনা করুক।