পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এরপরই মঞ্চে বসে থাকা হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনের দিকে ফিরে মমতা বলেন, আমি ওঁদের বলেছি, অন্য সব সংস্থাকে জমি বিক্রি করে তোমরা ব্যবসা করছ, ঠিক আছে। কিন্তু কোনও নামী-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যারা এখানে ক্যাম্পাস বানাতে আসছে, তাদের থেকে জমির দাম নেওয়া যাবে না। বিনামূল্যেই জমি দিতে হবে। কাদের কাদের জমি দেওয়া হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে দেবাশিসবাবু বলেন, প্রেসিডেন্সি ছাড়াও যাদবপুর, সেন্ট জেভিয়ার্স, কলকাতা, আলিয়া এবং নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি দেওয়া হয়েছে। ভাষণ চলাকালীন মঞ্চ থেকে মমতার নজরে পড়েন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সুরঞ্জন দাস। মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, কী সুরঞ্জনবাবু জমি পেয়েছেন? কাজটা তাড়াতাড়ি শেষ করুন। উপাচার্য উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, দেবাশিসবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সব হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের দেওয়া জমি এবং ৩৭০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদানের মধ্যে ১৮৩ কোটি টাকা খরচ করে রেকর্ড সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি বানিয়েছে হিডকো। বক্তৃতার শুরুতে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে হিডকো কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অনুষ্ঠানের সূচনায় বক্তৃতা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোড়া থেকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেভাবে আর্থিক অনুদান দিয়ে তাঁদের চলার পথ সুগম করেছেন, কৃতজ্ঞচিত্তে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। কার্শিয়াংয়ের ডাউহিলে হিমালয়ান সেন্টার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ক্যাম্পাস তৈরির প্রক্রিয়াও যে দ্রুত শেষ হতে চলেছে, তাও জানান ডঃ লোহিয়া।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর এবং সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজে গিয়ে যাতে ‘গেস্ট লেকচারার’ হিসেবে ক্লাস নিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। মমতা বলেন, এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা জেলার কলেজে গিয়ে ক্লাস নিলে, সংশ্লিষ্ট কলেজও গর্বিত হবে। তবে এই ব্যবস্থায় যাতে অধ্যাপকরা সসম্মানে অংশ নিতে পারেন, তার জন্য একটি স্কিম তৈরি করা হচ্ছে। নতুন ক্যাম্পাসে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ যে পাঁচটি ‘স্কুল’ তৈরি করছে, তার একটি ডেটা ইনফোটেক এবং সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ সংক্রান্ত। বক্তৃতায় সেই বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ে একটি সেন্টার অব এক্সেলেন্স গঠন করা হবে রাজ্যে। তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের অধীনে তা তৈরি হবে।