পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে জঙ্গি হানায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। এদিন নিহত জওয়ানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য বিধানসভায় হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক ও মন্ত্রীরা। অধ্যক্ষ বিমানবাবুর নেতৃত্বে মোমবাতি জ্বালিয়ে মৌনভাবেই বিধানসভা চত্বর পরিক্রমা করেন তাঁরা। পরে বিআর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী তাপস রায়, সুজিত বসু, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রণয় রাই, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ শাসক ও বিরোধীদের একাধিক বিধায়ক অংশ নেন। বিধানসভার সর্বস্তরের কর্মী এদিন কালো ব্যাজ পরে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। অধ্যক্ষ বলেন, দেশের জন্য জওয়ানরা প্রাণ দিয়েছেন। সেইসব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানো হয় এই সভায়। তাঁর মতে, এই সময় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিধানসভায় বিজেপির তিন সদস্যের কেউই হাজির ছিলেন না। তাঁদের গরহাজিরা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাই তাঁদের পক্ষে তাতে যোগদান সম্ভব হয়নি। উল্টে তাঁর অভিযোগ, আয়োজকরা চেয়েছিল শহরকেন্দ্রিক বিধায়করাই শুধু শ্রদ্ধা জানাবেন। তাঁদের দুই বিধায়ক উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। তিনি নিজে ওড়িশায় ছিলেন। এদিন তিনি শহরে ফিরলেও দলের কর্মসূচিকেই অগ্রাধিকার দেন। অধ্যক্ষ অবশ্য বলেন, বিধানসভার পক্ষ থেকে অন্যান্য দলের মতো বিজেপির বিধায়কদেরও একই সময়ে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকার বিধায়কও জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে হাজির হয়েছিলেন। দিলীপবাবু বলেন, বিধানসভায় যেতে না পারলেও শহরের রাজপথে তিনি মোমবাতি মিছিলে অংশ নিয়েছেন।