পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুগার সারাতে করলা, ত্রিফলা ছাড়াও আর কী কী ঘরোয়া টোটকার কথা বলা হয়েছে? সেখানে বলা হয়েছে মেথির কথাও। চার চামচ মেথি এক গ্লাস জলে রাতে ভিজিয়ে সকালে খেতে বলা হয়েছে। এক থেকে তিন চামচ হলুদ গুঁড়ো ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, দেওয়া হয়েছে এই নিদানও। খুক খুক কাশছেন? বলা হয়েছে, আদা পিস পিস করে কেটে জলে ফোটান। জল একটু ঠান্ডা হলে পান করুন।
বছরভর ঠান্ডা লাগলে কী করতে হবে? হার্বাল টি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আদা, গোলমরিচ এবং তুলসীপাতা দিয়ে তৈরি করতে হবে সেই হার্বাল টি। পাঁচ-ছ’টি লবঙ্গ ও রসুনের কোয়াও কাজে দিতে পারে। নাক বন্ধ থাকলে জোয়ানের ঝাঁঝ কষ্ট দূর করতে পারে। জ্বরজারিতে এক চামচ করে আদার রস, মধু ও তুলসীপাতার রস মিশিয়ে দিনে চারবার খেলে আরাম মিলতে পারে। ব্যথাবেদনায় এক কাপ সর্ষের তেলে ১০ গ্রাম মতো কর্পূর দিয়ে গরম করতে হবে সেই মিশ্রণ। যতক্ষণ না কর্পূর সম্পূর্ণভাবে উবে যায়। হালকা গরম সেই তেল ব্যথার জায়গায় লাগাতে বলা হয়েছে। আর একটি সমাধান হল, ৬০ মিলি নারকেল তেলে আট-দশটি লবঙ্গের টুকরো ও রসুনের কোয়া দিয়ে ভাজতে বলা হয়েছে। সেই মিশ্রণ ব্যথার জায়গায় দিলেও মিলতে পারে আরাম।
খিদে কম হওয়ার সমস্যা অনেকেরই। তারও নিদান রয়েছে এই আয়ুর্বেদিক সমাধান-পুস্তকে। চারটি সমাধানের কথা বলা হয়েছে সেখানে। এক, লেবুর রসে আদার টুকরো ও সৈন্ধব লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে হবে। দুই, মাড়ের সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে হবে। তিন, আমলা বা আমলকির গুঁড়োতে অল্প নুন মিশিয়ে খাবার আগে খেতে হবে। চার, লেবু দু’টুকরো করে কেটে, তাতে নুন ও গোলমরিচ মিশিয়ে সেই লেবুর রস চুষতে হবে।
সামগ্রিকভাবে নীরোগ থাকার জীবনরহস্যের কথাও বলা হয়েছে এই নিদানে। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস এই জীবনযাপনের অঙ্গ। এরপরই আসবে খালি পেটে জলপান ও প্রাতঃকৃত্য সম্পাদন। তারপর আসবে দাঁত মাজা ও জিভ পরিষ্কারের পালা। পরবর্তী ধাপে ‘ন্যাসাল মেডিকেশন’ বা নাস্যকর্মের কথা বলা হয়েছে। তাতে নাকে তেল দেওয়া বা তেজপাতা জলে ফুটিয়ে বাষ্প বা ভেপার নেওয়াও যেতে পারে। শেষ ধাপে কুলকুচো করা এবং মুখ ভালো করে পরিষ্কারের পালা।