কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন পাহাড়ে সকালের দিকে তাপমাত্রা ছিল ৬-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু দুপুরে আচমকা তাপমাত্রার পারদ হু হু করে নেমে যায়। বিকেলের দিকে পাহাড়ে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেলের দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ দার্জিলিংয়ে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। সুখিয়াপোখরি, সীমানা বাজার, ঘুম, জোড়বাংলো, বাতাসিয়া, ডলি, চকবাজার ও দার্জিলিং টাউনে ভারী শিলাবৃষ্টি হয়। রাস্তায় পুরু হয়ে শিল জমে যায়। অন্যদিকে, উঁচু এলাকা মানেভঞ্জন, সুখিয়াপোখরি, সীমানা, সান্দাকফু ও ফালুটে ফের ভারী শিলাবৃষ্টির সঙ্গে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়। এতে সুখিয়াপোখরি বস্তি ও মানেভঞ্জন বস্তিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সিকিম ও দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। অন্যত্র বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আজ, রবিবার দার্জিলিং সহ সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন অসমে একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকায় বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি আরও জোরদার হয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও পড়েছে। শনিবার কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘলা ছিল। তাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। বেলা বাড়ার পর কলকাতায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। আজ, রবিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমবে। কিন্তু সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের পর পর দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পশ্চিম হিমালয়ে আসতে চলেছে। এখন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শীতের আমেজ কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দার্জিলিংয়ে শেষবার ভারী তুষারপাত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরেও পাহাড়ে শিলাবৃষ্টির সঙ্গে প্রবল তুষারপাত হয়েছিল। গত ডিসেম্বর থেকে এদিন পর্যন্ত পাহাড়ে এ নিয়ে পাঁচ থেকে ছ’বার শিলাবৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত হল। যা পাহাড়ের ইতিহাসে রেকর্ড। ১১ বছর পর দার্জিলিংয়ে পরপর এতবার তুষারপাত পর্যটকদেরও অবাক করেছে। এদিন ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাদা, রংবুল, ঘুম, দার্জিলিং শহরে তিন থেকে চার ইঞ্চি পুরু হয়ে শিল পড়ে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ দার্জিলিংয়ে পাঁচ-সাত ইঞ্চি শিলাবৃষ্টি হয়েছিল। সেবার রাস্তা থেকে সেই শিলা সরাতে কয়েক দিন লেগে গিয়েছিল। সেবারের মতো না হলেও শনিবার আচমকা শিলাবৃষ্টিতে দার্জিলিং শহর ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। রাস্তায় শিলা পড়ে থাকার কারণে যানবাহনের গতি থেমে যায়।
অন্যদিকে, এদিন সমতলে সকাল থেকেই গরম অনুভূত হয়েছে। তবে বিকাল থেকে ঠান্ডা হাওয়ার প্রভাবে তাপমাত্রা কমে শীত অনুভূত হয়। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও ধূপগুড়িতে সন্ধ্যার দিকে এক পশলা হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার কোথাও বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না হলেও বিকাল থেকে সমতলের সর্বত্র আকাশ মেঘলা ছিল। তবে গৌড়বঙ্গের আবহাওয়ার কোনও হেরফের হয়নি।