বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
রাজীব কুমার কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম নেতৃত্বাধীন ১৭টি বাম দলের তরফে গত ১২ তারিখ থেকে ন’দিন ধরে টানা রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। চিটফান্ডকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারী ও এজেন্টদের গচ্ছিত অর্থ ফেরত এবং প্রতারক ও ষড়যন্ত্রীদের জেলে ঢোকানোর স্লোগানকেই হাতিয়ার করে তারা। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এদিন কলকাতায় একটি মহামিছিলের ডাক দেয় তারা। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, বিকেল চারটের সময় ধর্মতলার লেনিন মূর্তির সামনে থেকে মিছিল চৌরঙ্গি রোড ধরে সোজা হাজরা মোড় পর্যন্ত যাবে। কিন্তু এদিন সকালে একই রুটে মুখ্যমন্ত্রীর মৌন মিছিলের কর্মসূচির কথা জানার পর লালবাজারের তরফে বাম নেতৃত্বকে মিছিলের রুট বদলের আর্জি জানানো হয়। প্রথমে ধর্মতলা থেকে মৌলালির রামলীলা পার্ক পর্যন্ত মিছিল করার পরামর্শ দেয় পুলিস। কিন্তু সেই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ খারিজ করে দেয় বাম নেতৃত্ব। এরপর বিকেলে ধর্মতলায় জড়ো হওয়ার পর দফায় দফায় বিমান বসু, রবিন দেব, সূর্যকান্ত মিশ্র, মনোজ ভট্টাচার্য, হাফিজ আলম সাইরানি, পার্থ ঘোষ সহ বাম নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিসকর্তারা। বিমানবাবুরা দক্ষিণমুখী মিছিলের কর্মসূচিতে জেদ ধরে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা জানান, হাজরা মোড় নয়, এক্সাইড মোড় থেকে তাঁরা বাঁদিকে ঘুরে এজেসি বোস রোড ধরে মিন্টো পার্ক পর্যন্ত যাবেন। কিন্তু তাতেও আপত্তি জানায় পুলিস। তারা বলে বড়জোর পার্ক স্ট্রিট দিয়ে তারা মিছিল মিন্টো পার্ক পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
এই টানাপোড়েনের মধ্যেই শোক প্রস্তাব পাঠ এবং দু’মিনিট নীরবতা পালনের পর মিছিল শুরু করে দেন বিমানবাবুরা। কিন্তু মেট্রো সিনেমার সামনে বিশাল পুলিসবাহিনী ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল ততক্ষণে একই রাস্তায় উল্টোদিক দিয়ে আসছে খবর আসায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। তা শুনে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। বিমানবাবুদের সঙ্গে পুলিসকর্তাদের জোর তর্কাতর্কি চলে। কিছুক্ষণ পর ব্যারিকেড খুলে ফের মিছিলের অনুমতি দিলেও পরে আরও একবার তাঁদের আটকানো হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মিছিল এক্সাইড মোড় হয়ে মিন্টো পার্ক পর্যন্ত যায় কড়া পুলিস পাহারায়।