বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আয়কর দপ্তরে জমা দেওয়া সুজনবাবুর প্রথম দফার তালিকায় আপাতত ২৭ জন নেতা-মন্ত্রীর নাম রয়েছে। এর মধ্যে আবার ‘দলবদলু’ কয়েকজন বিধায়কও রয়েছেন। এবিষয়ে তিনি হাতিয়ার করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতা-মন্ত্রীদের নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামাকে। ২০১১ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁরা এই হলফনামা দাখিল করেছিলেন। সেই তথ্য অনুযায়ী ওই পাঁচ বছরে কারও সম্পত্তি ১১৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। কারও আবার বেড়েছে প্রায় ৭০০ শতাংশ। ন্যূনতম বৃদ্ধির পরিমাণ দেখা যাচ্ছে ৫২ শতাংশ। এক মন্ত্রীর সম্পত্তি এই সময়ে ১৫ কোটি টাকা বেড়েছে।
আয়কর কর্তাদের কাছে নালিশ জানানোর পর সুজনবাবু বলেন, এই তথ্য হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আরও অনেক তথ্য রয়েছে। প্রয়োজনে তা জমা দেব আয়কর দপ্তরে। শুধু এই ২৭ জনই নয়, রাজ্যের প্রায় সব জেলা, মহকুমা ও ব্লকে তৃণমূলের অধিকাংশ নেতার আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি কীভাবে হয়েছে, তা এলাকার মানুষের কাছে বিস্ময়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়কর দপ্তর আমাদের অভিযোগ নিয়ে কতটা তদন্ত করে সেটাই দেখার।
সুজনবাবুর অভিযোগ সম্পর্কে তৃণমূলের তরফে পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ববি) বলেন, আমাদের দলের অনেক নেতা-মন্ত্রী ব্যবসা করেন। সেই সঙ্গে দলও করেন। ব্যবসা করলে সম্পত্তি বাড়তেই পারে। তাঁরা আয়কর দপ্তরে তার রিটার্নও জমা দেন। এসব অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না। আসলে সুজনবাবুদের মতো জনগণের টাকায় আমরা পার্টি করি না। এজেন্সি বা আদালতে নালিশ জানাতে গিয়ে ওঁরা বারবার থাপ্পড় খেয়েছেন। যেমন আমার মেয়র হওয়া নিয়ে হাইকোর্টে থাপ্পড় খেয়েছেন। এক্ষেত্রেও তাই হবে।