রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদীয়া, হুগলি এবং কলকাতার গুটিকয়েক ‘নেতা-নেত্রী’ ভোটের প্রাক্কালে নানাভাবে জল মাপতে শুরু করেছেন। দূত মারফত তাঁদের কয়েকজন গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন। কয়েকজন আবার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আর কলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন গেরুয়া শিবিরের এক ‘ বাঙালি’ এবং এক ‘অবাঙালি’ নেতার সঙ্গেও। বিষয়টি দলের নজরে আসা মাত্রই সতর্ক হয়েছে তৃণমূল। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের কোর কমিটির বর্ধিত বৈঠকে ‘গদ্দার’দের চিহ্নিতকরণ এবং নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী নিদান আর দিশা দেন, এখন তার জন্যই অপেক্ষা সবার।
জোড়াফুল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা ভোটে বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত এলাকায় এমপি’র কাজকর্মে সাধারণ মানুষ খুব একটা খুশি নয়, এমন কেন্দ্রগুলিতে নতুন মুখ আনার কথা ভাবনায় রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যে বা যাঁরা বাদ পড়বেন, নানা কৌশল আর প্রলোভনে তাঁদের নিজেদের শিবিরে অন্তর্ভুক্ত করার মরিয়া প্রচেষ্টা যে বিজেপি চালাবে, তা বিলক্ষণ জানে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের এক শীর্ষকর্তার কথায়, যে বা যাঁরা বাদ পড়বেন, তাঁরা যে সবাই দলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে গেরুয়া শিবিরে ভিড়বেন, এমনটা নয়। কারণ সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে সংস্রব থাকা লোকজন জানেন, এ রাজ্যে প্লাস মমতা আর মাইনাস মমতার পার্থক্য কী! যদিও ঘোলা জলে মাছ ধরতে টাকার থলি হাতে আসরে নামবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এজেন্সির ভয় দেখিয়ে কয়েকজনকে নিজেদের দিকে আনার মরিয়া চেষ্টাও শুরু হয়েছে। ওই কর্তার কথায়, এই সব বিষয় মাথায় রেখেই বিজেপি ঠিক করেছে, এ রাজ্যের ৪২টি আসনে সবার শেষে প্রার্থী ঘোষণা করবে তারা। গেরুয়া শিবিরের এহেন আগাম ঘোষণার প্রেক্ষিতে তাই রণকৌশল পাল্টাচ্ছে তৃণমূলও।
সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছিল, তৃণমূলের তিন এমপি’র সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে। তাঁরা কারা? বিজেপির দাবি, এঁরা হলেন দক্ষিণবঙ্গের দু’জন এবং উত্তরবঙ্গের একজন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা এমপিও রয়েছেন। জোড়াফুল শিবিরের পাল্টা দাবি, বিভ্রান্তি ছড়াতেই এসব প্রচার করছে ওরা। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে দু’-একজন ওদের (বিজেপি) সঙ্গে গিয়েছে বটে, তবে তাঁদের কোনও জনভিত্তি নেই। এলাকায় জনভিত্তি নেই, দলের এরকম দু’-একজন বিধায়ক এবং কয়েকজন পুর ও পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধি গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এ খবর রয়েছে। সে সব যাচাই করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত ‘গদ্দার’, যাঁরা তৃণমূলী সেজে বিজেপিকে রসদ জোগাচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে নিষ্ক্রিয় করাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। দল সেই কাজটাই করছে।