গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শুক্রবার শহর ও রাজ্যের নামকরা ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন, ঋতু পরিবর্তনের এমন সময়ে ঘরে ঘরে অসুস্থের সংখ্যা বাড়ছে। আউটডোরে রোগীর ভিড় বাড়ছে। বেশিরভাগই ভাইরাল ইনফেকশন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে ভাইরাস সংক্রমণের পরই ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রব হচ্ছে। রোগীদের একেবারে কাহিল করে দিচ্ছে। এই সময় সবদিক থেকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। গরম লাগলেও এখনই ফুল স্পিডে পাখা না চালানো, ফ্রিজের ঠান্ডা জল না খাওয়া, হুট করে বাইরে থেকে এসে এসি চালিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলছেন তাঁরা। জ্বরজারিতে প্যারাসিটামলই সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ জানিয়ে ডাক্তারবাবুদের মত, অ্যান্টিবায়োটিক তখনই, যখন চিকিৎসকরা বলবেন। তার আগে নৈব নৈব চ।
বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র বলেন, প্রচুর রোগী সর্দি-জ্বরের মতো সমস্যা নিয়ে দেখাতে আসছেন। অনেককে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগীও পাচ্ছি। জ্বর-সর্দির সঙ্গে থাকছে প্রচণ্ড কাশি। কাশি থামতে চাইছে না। বয়স্কদের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বাড়ছে। আমাদের ধারণা, শহরে বায়ুদূষণমাত্রা যথেষ্ট বেড়ে যাওয়ায় কাশির প্রকোপও বাড়ছে। সেজন্য অনেক রোগীকে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ দিতে হচ্ছে। কাউকে কাউকে ইনহেলার। আশিসবাবু বলেন, বেশিরভাগই ভাইরাসঘটিত ইনফেকশন। তা শেষ হতে না হতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে অনেকের সেকেন্ডারি ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হচ্ছে। সাধারণ সর্দি-কাশি টনসিলাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস প্রভৃতি দিকে মোড় নিচ্ছে। তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ মিত্র।
বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অপূর্ব ঘোষ বলেন, প্রচুর বাচ্চা অসুস্থ হচ্ছে। বেশিরভাগেরই জ্বর-সর্দি-ভাইরাল সমস্যা। এটা ব্যাপক হারে হচ্ছে। বাবা-মায়েরা চিন্তায় পড়েছেন। অ্যাডিনো ভাইরাস, সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনাও পাচ্ছি। বলব, সাধারণভাবে বড়সড় উদ্বেগের কিছু নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাঁচ থেকে সাত দিন জ্বরে ভুগতে হচ্ছে। সেরেও যাচ্ছে। ডাক্তারবাবুদের না দেখিয়ে বাচ্চাদের অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পইপই করে বারণ করেছেন অপূর্ববাবু। পাশাপাশি জানিয়েছেন, অসুখবিসুখ করলে ভিড়ভাট্টা, মেলা, অনুষ্ঠানবাড়িতে বাচ্চাকে না নিয়েই যাওয়া উচিত।
বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ রথীন চক্রবর্তীও বলেন, ঋতু পরিবর্তনের অসুখবিসুখ ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে। প্রায় ঘরে ঘরে সমস্যা। সর্দি-কাশি-জ্বর ছাড়াও গলা ব্যথা, ডায়ারিয়াও হচ্ছে। ন্যাসাল অ্যালার্জি মানে হাঁচি, নাক থেকে জল পড়াও খুব হচ্ছে। বেশ কয়েকজন চিকেন পক্সের রোগীও পেয়েছি। তাঁর নিদান, গলা ব্যথা হলে ‘হিপারসালফ ২০০’ ভালো কাজ দিতে পারে। গা-হাত-পা ব্যথায় ‘রাসটাকস ২০০’, ডায়ারিয়ায় ‘ক্যালকেরিয়া ফস ২০০’, চিকেন পক্সের গা-হাত-পা ব্যথাতেও ‘রাসটাকস ২০০’ ভালো কাজ দিতে পারে।