গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বিমানবাবু এদিন বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি যে সাধারণ মানুষের স্বার্থে দেশের ক্ষমতা থেকে মোদি সরকারকে হটানো একান্ত প্রয়োজন। এজন্যই আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে স্লোগান দিয়েছে, বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। জাতীয় স্তরে আমরাও চাই বিজেপি বিরোধী সব ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দল ঐক্যবদ্ধ হোক। তবে রাজ্য-রাজনীতির বাধ্যবাধকতার প্রশ্নে ভোটের আগে মহাজোট গড়া সম্ভব বলে আমরা মনে করি না। বাংলায় তো নয়ই। কারণ, এখানে যে দল শাসন ক্ষমতায়, সেই তৃণমূল কাজে-কর্মে কার্যত বিজেপির আর এক রূপ। অতীত এবং বর্তমান বিবেচনা করলে গণতন্ত্র বা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে মমতার দলকে কখনওই ভরসা করা যায় না। আর বুধবার রাজধানীতে বিরোধী নেতানেত্রীদের যে বৈঠক হয়েছে, সেটা অনেকটা ‘দেখনি’ (দেখনদারি)। আমরা মনে করি, ভোটের আগে জাতীয় স্তরে কোনও রকম সার্বিক বোঝাপড়া সম্ভব নয়। এমনকী, ন্যূনতম কর্মসূচি গ্রহণ করাও অসম্ভব। যা কিছু তা ভোটের পর হবে।
এদিকে, বাংলায় যে সিপিএম এবারেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়তে চায়, সেটা আগেই বুঝিয়েছে দলের বঙ্গব্রিগেড। রাহুল গান্ধী যতই মমতার সঙ্গে জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে বৈঠক করুন, রাজ্যে কংগ্রেস যে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট করবে না, সেটাও প্রায় পাকা। এই অবস্থায় অবশ্য এখনও বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে রাজ্যস্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও আলোচনা শুরু হয়নি। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন বাটোয়ারা নিয়ে বামফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে কিছু অসন্তোষ রয়েছে। সেই সব বিষয়ে এখন তাদের সঙ্গে কথা বলছে সিপিএম নেতৃত্ব। বিশেষ করে শরিকরা কেউ তাদের কোটার আসন ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তাদের বোঝাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে আলিমুদ্দিনকে। বিমানবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির যথাসম্ভব ঐক্য চাইছি। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের কোনও আলোচনা এখনও শুরু হয়নি। বর্তমানে ফ্রন্ট শরিকদের সঙ্গে সেই সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। সেটা শেষ হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে। তবে রাজ্য সিপিএম এবং প্রদেশ কংগ্রেসের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার মধ্যে প্রাথমিক কিছু কথা চালাচালি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।