পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ২৩টি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপি ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লোকসভা ভোটে বাংলায় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলের সর্বক্ষণের নেতা-কর্মীদেরই গুরুত্ব দেওয়া হবে সবথেকে বেশি। কিছু ব্যতিক্রম থাকবে। আর সেগুলিতে চমক দেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে কখনওই কোনওরকম সংস্রব না রাখা ভিন দলের বিক্ষুব্ধরা শুধুমাত্র টিকিট পাওয়ার লোভে গেরুয়া শিবিরে ভিড় জমালে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের দলীয় প্রার্থী করা হলে তা বিজেপির জন্য আদতে ব্যুমেরাং হয়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্নটিই এখন ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সহনেতা সুরেশ পূজারি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে যেসব শর্ত মেনে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছিল, অবশ্যই ২০১৯ সালে সেই একই শর্ত মেনে চলা হবে না। কারণ ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, সারা দেশেই বিজেপির জমি সেভাবে শক্ত ছিল না। ফলে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক চমকের অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে সেই পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতাদের। পরবর্তী ক্ষেত্রে বারতিনেক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কলকাতায় গিয়ে এই ইস্যুতে মিটিং করে এসেছেন। আগামীদিনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে দফায় দফায় আরও বৈঠক করবে বিজেপি। ভিন দলের বিক্ষুব্ধদের একাংশকে টিকিট দিয়ে গেরুয়া শিবিরেই যাতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু না হয়ে যায়, মূলত তাই হতে চলেছে বিজেপির পরবর্তী বৈঠকগুলির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা।