কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সিবিআই মনে করছে, চিটফান্ড তদন্তে গঠিত হওয়া সিটের মধ্যেই অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। কারণ তারাই প্রথমে কাজ শুরু করেছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হওয়া মামলা একত্রিত করে তারা। তাদের তদন্তে যতটা সতর্কতার প্রয়োজন ছিল, তাতে কোথাও যেন একটা ফাঁক রয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা খুঁজে দেখতে চাইছেন কেন এমনটা হল। কারণ এই ধরনের বড় মামলার ক্ষেত্রে অনেক পদক্ষেপ মেনে এবং সমস্ত দিক খুলে তদন্তে এগতে হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, সিট সমস্ত দিকই কভার করছিল। কিন্তু কোথায় এসে যেন একটা খেই হারিয়ে ফেলেছে। সেই কারণেই তাঁদের জানা প্রয়োজন, এর গঠন ও পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি ছিল কি না।
আর তা করতে গিয়েই সিটে যে সমস্ত অফিসাররা ছিলেন, তাঁদের বাছাই প্রক্রিয়ার উপর জোর দিতে চাইছে সিবিআই। কারণ গোড়ায় গলদ থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই তদন্ত একটা নির্দিষ্ট দিকে বাঁক নেওয়ার পর কিছুটা এসে গতি হারিয়ে ফেলে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তার কথায়, তাঁরা যখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পেলেন, তখন এই সমস্ত তদন্তে অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন অফিসারদের দলে শামিল করলেন। এমনকী তাঁদের অনেকেরই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যাঙ্কিংয়ের যে সমস্ত সাবজেক্ট রয়েছে, তাতে ডিগ্রি রয়েছে। যাতে কোনওভাবেই তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই কাদের বাছাই করা হচ্ছে, তাদের ডিগ্রি এবং মাপকাঠি কী, তা অত্যন্ত বিচার্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই সিটের সদস্যদের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে আলাদা করে খোঁজখবর চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সিবিআই এও জেনেছে, সিটে থাকা এক অফিসারের উপর অত্যন্ত ভরসা রাখা হয়েছিল। তিনি তদন্তের একেবারে গোড়া থেকে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সারদা মামলার যে সমস্ত তদন্তকারী অফিসারদের ডাকা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তায় ওই অফিসারের নাম উঠে এসেছে। সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে একবার মুখোমুখি বসতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। এমনকী শীর্ষকর্তারাও তাঁর উপর অত্যন্ত আস্থাবান ছিলেন। দৈনিক কাজকর্ম তিনি দেখভাল করতেন। তাঁর সঙ্গে কথা বললেই বুঝে নেওয়া যাবে কৌশলে গোলমালের কারণেই তদন্ত দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়েছিল, নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে।