বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে যে পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এফসিআই এখনও পর্যন্ত রাজ্য খাদ্য দপ্তরের কাছ থেকে ৪৩ হাজার ৭০৪ টন চাল নিয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের নিজস্ব গুদামে এখন প্রায় ৫ লক্ষ টন চাল মজুত রয়েছে। আরও প্রায় ১০ লক্ষ টন চাল উৎপাদিত হয়ে রাইস মিলগুলিতে পড়ে রয়েছে। ওই চাল নেওয়ার জন্য রাইস মিলগুলি খাদ্য দপ্তরের উপর চাপ দিচ্ছে। চাল না নিলে মিলগুলির পক্ষে ভানানোর জন্য আরও ধান নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এফসিআই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে চাল নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে তাদের গুদামে জায়গা না থাকার কথা বলে থাকে। এদিনের বৈঠকে এফসিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডানকুনি, কল্যাণী সহ সাতটি গুদামে জায়গা আছে। সেখানে এখন চাল নেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের তরফে এদিন কড়া ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন চাল নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি না করা হলে এফসিআই-এর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ও এফসিআই-এর মধ্যে চাল নিয়ে মৌখিক টানাপোড়েন চলছে। খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এফসিআই-এর গুদামে বেশি পরিমাণে গম থাকলে তা রেশনের জন্য দ্রুত সরবরাহ করা যেতে পারে। এতে তাদের গুদাম খালি হবে। সেখানে চাল রাখা যাবে। এদিকে মজুত চাল নিয়ে সমস্যা থাকলেও খাদ্য দপ্তর কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না। চারটি জেলায় আরও দেড়শোর বেশি ধান ক্রয় কেন্দ্র (ডিপিসি) খোলা হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এই জেলা চারটি হল- মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব বর্ধমান। এখন ১২৮২টি ডিপিসি চলছে। স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্র বা সিপিসি চলছে সাড়ে চারশোর বেশি। এছাড়া, রেশনে সরবরাহ করা আটার গুণমানের উপর নজরদারির জন্য বিশেষ অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দপ্তর।